দেশজুড়ে
রংপুরে বোমা বিস্ফোরন ও জেলা পরিষদ ভবনে ককটল হামলা – ১২০ জনের নামে মামলা
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর রবার্টসনগঞ্জ মহল্লায় গোপনে বোমা তৈরীর সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে যুবদলের জেলা সহ সাংঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সরকার বিপ্লবের(২৯) হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরীর সরঞ্জাম, জর্দার কোটা, বোমা তৈরীর বিস্ফোরক-গান পাউডার, লোহার টুকরা, পাথর কুচিসহ কয়েকটি হাতে তৈরী বোমা উদ্ধার করে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ নগরীর টাউন হলের কাছ থেকে যুবদল নেতা ফিরোজ সরকার বিপ্লবকে গুরুতর আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে গ্রেফতাকৃত যুবদল নেতা ফিরোজ সরকার বিপ্লব জানিয়েছে রংপুরে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর জন্য দলের জেলা ও মহানগরের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নির্দেশে তারা ওই বোমা তৈরী করছিল। ওই ঘটনায় পুলিশের এসআই ফেদৌস আহমেদ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নগরীতে বড় ধরনের বোমা হামলা ঘটিয়ে নাশকতার পরীকল্পনা ও বোমা তৈরীর অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছ্রাতদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬৫ নেত-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও হরতাল চলাকালে গত সোমবার নগরীর পুলিশ লাইনের সামনে জেলা পরিষদ ভবন চত্তরে ককটেল হামলার ঘটনায় পুলিশের এসআই ওলিযার রহমান বাদী হয়ে পৃথক আর একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫৫ জনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় ১২০ জন আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্য যারা তারা হলেন, বিএনপি’র মহানগর কমিটির সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন, সাধারন সম্পাদক সামসুজ্জামান সামু, জেলা যুবদলের সভাপতি রইচ আহমেদ, যুবদলের জেলা সহ সাংঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সরকার বিপ্লব, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিঠু, সাধারন সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, যুবদল নেতা মিন্টু মিয়া, রাসেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রদলের সভাপতি জহির আলম নয়ন, প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া আলম জিম, সদস্য জিল্লুর রহমান প্রমূখ।