Connect with us

ফিচার

রমজানের ঈদে সংস্কার কোরবানি ঈদ না আসতেই ভোগান্তি

Published

on

রানীশংকৈল প্রতিনিধি: গেল রমজান ঈদের আগে ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলার শিবদিঘী জিরো পয়েন্ট থেকে বন্দর কুলিক-নদী ব্রিজ প্রর্যন্ত প্রায় ২কিঃমিঃ দুরত্বের মহাসড়কটি খাল খন্দে ভরে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে যাওয়ায় জনসাধারনের বহ দিনের দূর্ভোগের পর সংস্কার করা হয়। আর সড়কটি সংস্কারের কাজ করেন রজব এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রায় ২কিঃমিঃ মহাসড়ক সংস্কারের জন্য ৫১ লক্ষ টাকা টেন্ডার বরাদ্দে।
রমজান ঈদের কয়েকদিন পূর্বে সড়কটি সংস্কার করা হলেও ২মাস না যেতেই সড়কটি আবারও খাল খন্দ সৃষ্টি হয়ে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। তাই ঐ এলাকার মানুষজন বলছেন রমজানের ঈদে সংস্কার কোরবানির ঈদ না আসতেই বেহাল হয়ে পড়েছে মহাসড়কটি। আর মাত্র কয়েকদিন পর কোরবানির ঈদ যানবাহন চলাচল বেড়ে যাবে নারীর টানে ঈদ করতে নিজ এলাকার বাইরে চাকরি বা কাজ করে তারা ছুটে আসবে। কিন্তু সড়কের যে অবস্থা তাতে চলাচলে কঠিন দূর্ভোগের স্বীকার হবেন পথচারীরা।
ঠাকুরগাও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি সড়কটি ব্যবহারে এলাকার জনসাধারনের অবহেলা রয়েছে। কারন সড়কের পাশে সড়ক থেকে উচু করে দোকানঘরসহ অন্যানা স্থাপনা নির্মাণ করছেন এবং সড়কের উপরে নিয়মিতভাবে ধুলা রোদের জন্য পানি দিচ্ছেন এছাড়াও বৃষ্টি পাতের পানি গড়িয়ে সড়কের উপর দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। এ কারনেই মূলত সড়কটি দ্রæত নষ্ট হচ্ছে।
এ দিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ সড়কটি সংস্কারে অনিয়ম করা হয়েছে। সড়কটিতে সংস্কারে নিন্ম-মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কি সড়কটিতে ঠিকমত রোলার করা হয় নি। যেনতেনভাবে সড়কটি নির্মান করা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি যতই পানি জমে থাকুক পানিতো আর অনন্তকাল জমে থাকছে না। তাই বলে সংস্কারের ২মাস না পেরুতেই সড়কটি খাল খন্দে ভরে যাবে কার্পেটিং উঠে যাবে এটি নেহাত সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের ঠিকাদারের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ঠিকাদারের অনিয়মকে ধামা-চাপা দেওয়া ছাড়া কিছু নই।
মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাদনী সিনেমা হলের সামনে সড়কের কার্পেটিং উঠে খাল খন্দে ভরে গেছে একইভাবে বন্দর কলেজ বাসষ্ট্যান্ড,শান্তা কমিউনিটি সেন্টারের সামনের সড়ক,বন্দর চৌরাস্তাসহ ২কিঃমিঃ সড়কের বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে খালে খন্দে ভরে গেছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে,চলাচলের ক্ষেত্রে খুব দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে পথচারীদের। মুলত এ সড়কটি রানীশংকৈল উপজেলার পার্শ্ববতী উপজেলা হরিপুর সহ দুই উপজেলার বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে এবং এ সড়ক দিয়েই কোচ,মিনিবাস,ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে এবং কি এ সড়কের উপর দিয়েই ঠাকুরগাও জেলা সদরে বিভিন্ন কাজকর্মে যেতে হয় জনসাধারনকে। তাই সড়কটি দুই উপজেলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন এ বিষয়ে কোন কথা বলতে পারবেন না বলে জানান।
ঠাকুরগাও সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা প্রকৌশলী মাসুম সারওয়ার বলেন, এলাকার জনসাধারন সচেতন হলে কেবলমাত্র সড়কটি স্থায়ী হবে। এছাড়াও সড়কের উপরে পানি জমে থাকে। এক নাগাড়ে তিন দিন সড়কের উপরে পানি থাকলে কার্পেটিং উঠে যাবে কারন সড়কের উপর দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন পানি জমে থাকা অবস্থায় চলাচল করে। তবে সড়কটি কংক্রিটের করা যায় কিনা এ বিষয়ে সিদ্বান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *