Connect with us

মাদারীপুর

রাজৈরে জম জমাট হয়ে উঠছে ঈঁদ বাজার

Avatar photo

Published

on

index madaripur disইব্রাহীম, রাজৈর (মাদারীপুর)সংবাদদাতা:
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে জমে উঠেছে ,কাপড়ের হাট-বাজার ও গ্রামে দেখা যাচ্ছে হরেক রকমের কাপড়। হাট-বাজার ক্রেতারা ভীড় করতে শুরু করছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখা গেছে ,মার্কেট ও হাট-বাজারগুলোতে দেশী-বিদেশী হরেক রকমের কাপড় আমদানী করেছে ব্যবসায়ীরা ।পুরুষের তুলনায় মহিলাদের পোশাক বেশি দেখা যায়, হাট-বাজার ও মার্কেটের পাশা-পাশি ফেরিওয়ালারা মহিলাদের হরেক রকমের পেশাক নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েছে।
রাজৈর বাজারসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি হাট বাজাওে জমে উঠেছে কাপড়ের বাজার এসব কাপড়ের দোকানে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতাদের আনাগনায় অনেক ভীর দেখা যাচ্ছে চোখে পড়ার মত। শুরু হয়েছে ক্রেতাদের ভীড়, বাজারে আসা ক্রেতা বলেন প্রতিটি পোশাকের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না, কিন্তু নি¤œ পরিবারের জন্য এসব কিনতে খুবই কষ্ট হবে, তারপরও তারা ঈদেও আনন্দে নতুন পোশাক ক্রয় করবে।
টেকেরহাট বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ী জানান,ঈদ আসার আগেই প্রতিটা কাপড় এবছরে বেশি দাম দিয়ে পোশাক আমদানী করেছেন। আগের তুলনায় কেনাবেচা বেশি,ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক আনা হয়েছে, আগের তুলনায় এবার বেচা-কেনা অনেক বেশি হবে বলে মনে করেন

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঢাকা বিভাগ

মাদারীপুরে ভ্যাট অফিসের ঘুষের ভিডিও ভাইরাল, ২ রাজস্ব কর্মকর্তা ক্লোজড

Avatar photo

Published

on

মাদারীপুরে ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবিরের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় দুইজনকেই ক্লোজড করে বিভাগীয় কার্যালয় খুলনায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের কমিশনারের বরাত দিয়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের দুই রাজম্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ঘুষ নিয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দুই কর্মকর্তা দর-কষাকষি করছেন। এমনকি, চাহিদামতো প্রতিমাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীর কাছে মাসিক ঘুষের টাকা চাইছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় জেলাজুড়ে সমলোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার হয় একাধিক গণমাধ্যমে। বিষয়টি নজরে আসলে অভিযুক্ত দুইজনকেই ক্লোজড করে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের কমিশনানের কার্যালয় সংযুক্ত করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও বিভাগীয় মামলা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

Continue Reading

দেশজুড়ে

মাদারীপুরে হেযবুত তওহীদের জেলা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা

Avatar photo

Published

on

কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা করার পর পুলিশে খবর দিলে মোটর সাইকেল এবং অটোরিকশায় করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলা পরবর্তীতে কার্যালয়ের সামনে থেকে তোলা ছবি।

মাদারীপুর প্রতিনিধি: হেযবুত তওহীদের মাদারীপুর জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে মারধর, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে মাদারীপুর জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতিসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর জেলার সভাপতি রানা মিয়া। রানা মিয়ার অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের ইমাম এবং চরমোনাই পীরের অনুসারী মাদ্রাসাশিক্ষিত কিছু উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী এ হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হামলায় নেতৃত্ব দানের অভিযোগে দুই মসজিদের ইমামের নাম উল্লেখপূর্বক মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  • জেলা সভাপতিসহ আহত ৬
  • চার লক্ষ টাকার সম্পদ লুট ও বিনষ্ট
  • ২ মসজিদের ইমামকে আসামি করে মামলা

রানা মিয়া জানান, সকাল ১০ টার সময় কয়েকটি মোটর সাইকেল ও অটোরিকশায় করে বাঘা সুপার মার্কেটে হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ের সামনে লাঠিসোটা হাতে প্রায় ৩০/৪০ জন দাঙ্গাকারী উপস্থিত হয়। তাদের অধিকাংশের পরনে ছিল লম্বা জোব্বা, লুঙ্গি, পাজামা, মাথায় টুপি অথবা পাগড়ি। বেশ কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির যুবকও ছিল যারা টি-শার্ট জিন্স ইত্যাদি পোশাক পরিহিত ছিল। তাদের নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন দাঙ্গাবাজ মুহূর্তের মধ্যেই হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উপর হামলে পড়ে এবং এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে, লাঠি ও রড দিয়েও পিটাতে থাকে। হামলাকারীরা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল, ল্যাপটপসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং একটি ল্যাপটপ, ডেস্কটপের ৪ টি মনিটর ও একটি প্রোজেক্টর লুট করে নিয়ে যায়। তারা হেযবুত তওহীদের পোস্টার, বই, লিফলেট ইত্যাদি মালামাল কার্যালয়ের সামনে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। তিনি দাবি করেন, এ হামলার ঘটনায় প্রায় চার লক্ষ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ আগামীকাল সোমবার কর্মী সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মী সভার প্রয়োজনে নগদ এক লক্ষ টাকা কার্যালয়ে রাখা ছিল, যা লুট করেছে সন্ত্রাসীরা।

রানা মিয়া অভিযোগ করেন, “আমরা মনে করি, চরমোনাই পীরের স্থানীয় অনুসারীরাই এ হামলাটি করেছে। তারা এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে মুসল্লিদেরকে হামলার উসকানি দিয়ে আসছিল। এখন পর্যন্ত আমরা হামলায় অংশগ্রহণকারী দু’জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তারা হলেন বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা জাহিদুল ইসলাম ও চানমারী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ওবায়দুল্লাহ। তাদের দু’জনের নাম উল্লেখ করে আমরা সদর থানায় মামলা করেছি।”

মাদারীপুর সদর থানার ভাররপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) নাঈম আহমেদ বলেন, হেযবুত তওহীদের একটি কর্মী সম্মেলনকে সামনে রেখে মাদারীপুরে আন্দোলনটি প্রচার কার্যক্রম চলছিল। এর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্থানীয় কিছু আলেম শ্রেণির লোক। তারা এ অনুষ্ঠানটি বানচাল করার জন্যই সহিংস ঘটনাটি ঘটায়। তবে তারা চরমোনাই পীরের অনুসারী কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান ওসি (তদন্ত) নাঈম।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সদর থানার সাব ইন্সপেকটর শ্যামল ঘোষ জানান, হামলার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। হামলাকারীরা অধিকাংশই ছিল জোব্বা পরিহিত হুজুর প্রকৃতির লোক। তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের ইমাম এ হামলার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

হেযবুত তওহীদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ হামলার সময় মাদারীপুর কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ হামলার ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। আমরা ধর্মব্যবসা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে থাকি। আমাদের বিরুদ্ধে তাই জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী নানারকম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে আমাদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলতে চায়। এরা চায় ধর্মপ্রাণ মানুষকে লেলিয়ে দিয়ে সর্বপ্রকার সহিংসতা চালিয়ে তার দায় জনগণের উপর চাপিয়ে দিতে। এভাবে তারা নিজেরা ধর্মীয় লেবাস দেখিয়ে আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে চায়।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগে চরমোনাই পীরের একটি মাহফিলে মুফতি ফয়জুল করিম তাদের লক্ষাধিক মুরিদের সামনে হেযবুত তওহীদের সদস্যদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিরোধ করার হুকুম দেন। ওই উসকানির পর থেকেই বরিশাল অঞ্চলের হেযবুত তওহীদ সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। মাদারীপুরে আমাদের জেলা কার্যালয়ে হামলার এ ঘটনাটি তারই ধারাবাহিকতা। গতকাল রাতেও এ এলাকায় চরমোনাই পীরের অনুসারীদের কর্তৃক আয়োজিত একটি মাহফিলে হেযবুত তওহীদের উপর হামলা চালাতে মুসুল্লিদেরকে উসকানি দেওয়া হয়।” ডা. মাহফুজ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং জড়িতদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

Continue Reading

দেশজুড়ে

মাদারীপুরের পেয়ারপুরে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা

Avatar photo

Published

on

নিজস্ব প্রতিনিধি, মাদারীপুর: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতাসহ দেশ ও জাতির চলমান সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশব্যাপী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী আলোচনা সভা করেছে মাদারীপুর জেলা হেযবুত তওহীদ।
আয়োজনের শুরুতে রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম প্রদত্ত ভাষণের ভিডিওচিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।
বরিশাল জেলা শাখা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মো. রানা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। তিনি জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতিকে রক্ষার্থে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহŸান জানান। তিনি বলেন, আমরা হেযবুত তওহীদ ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে দেশের সুধীসমাজ থেকে শুরু করে আপামর জনতার কাছে পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছি। হেযবুত তওহীদের এই নিঃস্বার্থ কাজে আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পেয়ারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জজকোর্টের আইনজীবী এ্যাড. কানাই লাল, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আশরাফ মাতুব্বর, মো. মাসুদ আকন, মো. সবুর খান, মো. সিদ্দিক তালুকদার, আব্দুর রহমান হাওলাদার, নিলুফা বেগম, সাবিয়া সুলতানা, আম্বিয়া বেগম। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনতার উপস্থিতিও ছিল চোখে পরার মত।
এ সময় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ হেযবুত তওহীদের দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রমকে সমর্থন দেন এবং একাজের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

Continue Reading