Connect with us

ঠাকুরগাঁও

রাণীশংকৈলে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বন্দ চরমে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা

Published

on

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি, ঠাকুরগাও:

ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বন্দ চরমে। শিকার হচ্ছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য মেতে উঠেছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ের ১৩ বছরের শিশু আশ্রিত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম। নিজ স্বার্থ হাসিলের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের। আশ্রিত মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলাম পিতা বাদশা মিয়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে পঙ্গুত্ব ভাতা ভোগ করতেন। গোপন তথ্য জানতে পেরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরে তা বাতিলের আবেদন করলে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা থাকায় পঙ্গুত্ব মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাতিল হয়ে যায়। ক্ষিপ্ত হয়ে বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রকৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম পিতা মজিরউদ্দিন ও মোঃ মোবারক আলী পিতা মোঃ কালা মিয়ার যুদ্ধাহত ২০% ভাতা বন্ধের জন্য কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দাখিল করে। স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই সেতাবগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার। যারা যুদ্ধাকালিন সময়ে অন্যত্র যুদ্ধ করেছেন। তাছাড়া এসব মুক্তিযোদ্ধারা কারো যুদ্ধাহত ভাতা বন্ধের অভিযোগ এনে স্বাক্ষর করেননি বলে কাশিপুর ইউনিয়ন কমান্ডার নুরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, মুক্তিযোদ্ধা বিরেন্দ্রনাথ রায়, মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক, মুক্তিযোদ্ধা শসিমসহ অনেকে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। সাধারণ মিটিংএর রেজুলেশনে স্বাক্ষরের কপি সংযুক্ত করে নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পবিত্র রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে এমন দাবি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণের।

দিনাজপুর মহারাজা হাই স্কুলে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা রয়েছে। ১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারী মাইন বিষ্ফোরণে আহত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ মোবারক আলীর নাম ৩১ ও ৩২ ক্রমিক নম্বরে উল্লেখ আছে। তাছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিঃ জেনারেল আকবরসহ অধ্যাপক আমজাদ আলী, লেঃ কর্ণেল আব্দুর রহমান ও সিনিয়র সহকারী সচিব প্রভাত কুমার দাস ও সদস্য সচিব মোকসেদ আলী যাচাই বাছাই ও পরীক্ষা করে যুদ্ধাহতের প্রমান পাওয়ায় ২০% যুদ্ধাহত ভাতা মুঞ্জুর হয়। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম’র সনদ নম্বর ১৮৪৬৩০৩ স্মারক নম্বর মু.বি.ম/সা/ঠাকুরগাও/প্র-৩/৩৭/২০০২/১৪৯৪ যুদ্ধাহত গেজেট নম্বর ১১০৮ ও মোঃ মোবারক আলীর সনদ পত্র নম্বর ১৮২০৮৬ স্মারক নং মু.বি.ম/সা/ঠাকুরগাও/প্র-৩/৩৭/২০০২/১৪০৭ যুদ্ধাহত গেজেট নম্বর ১১০৯।

নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ ভাতা বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে এমন দাবি তুলে রাণীশংকৈল উপজেলার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগণ বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *