দেশজুড়ে
লক্ষীপুরের রায়পুরে গণপিটুনিতে ডাকাতের মৃত্যু
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ওই গ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতিকালে গণপিটুনি দিয়ে রুহুল আমিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশে দেয় জনতা।
নিহত রুহুল আমিন উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় ৩টি ডাকাতি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যবসায়ী শরিফ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে একদল ডাকাত ঘরে হানা দেয়। ডাকাতেরা তাকে পিটিয়ে আহত করে ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা ও কিছু স্বর্ণলংকার নিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এসময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ডাকাত রুহুল আমিনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতিতে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ল²ীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, গণপিটুনিতে নিহত ডাকাত রুহুল আমিনের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।