দেশজুড়ে
লক্ষীপুরে মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালেন আওয়ামীলীগ নেতা
শনিবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার উত্তরজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনের কৃষি সম্প্রসারনের জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এবিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদকে ডেকে আনলে তার ওপর হামলার চেষ্টা করে। এতে জনরোষ সৃষ্টি হলে মুক্তিযোদ্ধাকে নিরাপত্তা দিতে একটি কক্ষে নিরাপদে রাখেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে কমান্ডার ছিলেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি সম্প্রতি তিনি তার এলাকার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদর ইউএনও বরাবর আবেদন করেন। পরে অভিযোগটি ইউএনও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দেন। সেখান থেকে ঘটনাটি জেনে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমসহ কয়েকজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে তাকে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, চৌকিদার আবদুল্লাহ, পরান মেম্বার ও স্থানীয় টিপু তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে তিনি জানলার ফাঁক দিয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।
চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে কৃষি সম্প্রসারনের জায়গা দখলের চেষ্টা করে। এবিষয়ে জানার জন্য নুর মোহাম্মদকে ডেকে আনলে তার ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এতে জনরোষ সৃষ্টি হলে মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদকে নিরাপদে রাখতে কার্যালয়ের একটি কক্ষে নিরাপদে বসিয়ে রাখা হয়। তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যেতে লাফিয়ে পড়ে আহত হন।