Connect with us

খুলনা বিভাগ

শিশু কন্যার বিয়ে বন্ধ করি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’

Avatar photo

Published

on

সুজন বিশ্বাস শৈলকুপা ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
শিশু কন্যার বিয়ে বন্ধ করি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উৎযাপন উপলক্ষে শৈলকুপার আবাইপুর রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ (চুমকী) এমপি’র আগমন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই জনতার ঢল নামতে শুরু করে। জাতীয় ‘কন্যা শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে দরিদ্র শিশু কন্যা ও মায়েদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন জনাব সাইদুর রহমান সজল, সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো)। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সভাপতি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ জনাব আব্দুল হাই এমপি, জনাব মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু, সাধারণ সম্পাদক শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামীলীগ, জনাব নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অংগ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপজেলা আসাফো’র সভাপতি গোপাল চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুক্তার আহমেদ মৃধা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আসাফো শৈলকুপা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
দরিদ্র শিশু কন্যা ও মায়েদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, আলোচনা সভা ছাড়াও আসাফো’র প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়িকা মৌসুমি, শিউলী, নকুল কুমার বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
‘কন্যা শিশু দিবস’ এর তাৎপর্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আর প্রতিমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে শত বর্ষের পুরনো ঐতিহ্যবাহী রামসুন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠসহ আবাইপুর-হাটফাজিলপুর এলাকায় বিলবোর্ড, ব্যানার ফেসটুন আর বর্ণালী ফটক শোভাপায়।

জে-থাটির্ন,খুলনা

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কুষ্টিয়া

স্বামী-সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে শাহানাজ পারভীনের সংবাদ সম্মেলন

Avatar photo

Published

on

কুষ্টিয়া: দৌলতপুর উপজেলার ৫ নং রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন ভাগযোত বাজারে অবস্থিত আল মক্কা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক জাহিদ হাসানের স্ত্রী শাহানাজ পারভিন সম্মেলনের মাধ্যমে সে তার স্বামী- সন্তান ও সংসার ফিরে পেতে চেয়েছে।

শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে দৌলতপুর প্রেসক্লাব ডিপিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে শাহনাজ পারভীন জানান, ১৩ বছর আগে জাহিদ হাসানের সাথে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এমন অবস্থায় আমার স্বামী ও শাশুড়ি পরস্পর যোগসাজশে করে আমাকে ভরণপোষণ না দেওয়ার মন-মানসিকতায় মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আমার বাবা-মার কাছ থেকে। এবং সেই মোটা অঙ্কের যৌতুক না পাওয়া পর্যন্ত আমার উপর চলতে থাকে অমানবিক নির্যাতন।

পরে নির্যাতনের বিষয়টি আমার বাবা-মাকে জানালে আমার সুখের কথা চিন্তা করে জমি-জায়গা বিক্রয় করে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান পরে আমার স্বামী জাহিদকে। পরে কিছুদিন তারা ক্ষান্ত হলেও পুনরায় আবার আরে ৫ লক্ষ টাকা আমার বাবা মার কাছ থেকে এনে দেয়ার জন্য বলে । দাবীকৃত ৫ লক্ষ টাকা আমি এনে দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের থেকে আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।

গত ১০/০৫/২০২৩ তারিখ রাতে আমার স্বামী জাহিদ হাসান তাহার বসত বাড়ির শয়ন কক্ষে আমার শাশুড়ি মাসুরা খাতুন এর সহযোগিতায় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর এক পর্যায়ে আমার স্বামী ও শাশুড়ি ঘর থেকে জোরপূর্বক বের করে একটি দুর্গন্ধযুক্ত বাথরুমের মধ্যে আটকায়ে রাখে।

আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয় প্রতিবেশী ও লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ি স্থানীয় লোকজনদের অপমান অপদস্ত করে যার কারণে বাধ্য হয় স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে বিষয়টি প্রশাসন কে অবগত করে। পরে উক্ত ৯৯৯ এর সূত্র ধরে দৌলতপুর থানা পুলিশ সেখানে দ্রুত উপস্থিত হয়ে আমাকে দুর্গন্ধযুক্ত ঐ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।

শাহনাজ পারভীন আরো জানান, আমি আমার স্বামী সংসার ও ছেলেমেয়ে কে ফিরে পেতে চাই। আমার বাবার বসতভিটা শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে তাকে ইতিপূর্বে ৮ লক্ষ টাকা এনে দিয়েছি, এখন আর তাদের টাকা দেওয়ার মতো কোন সম্বল নেই। যার কারণে আমার উপর এমন অত্যাচার এর মাত্রা তাদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

Continue Reading

কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী

Avatar photo

Published

on

দৌলতপুর প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ২শ’ বছরের প্রাচীন বৃটিশদের নিলকুঠি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে সেবা দিচ্ছে জনসাধারনের। ব্রিটিশদের তৈরি এই প্রাচীন নিলকুঠি উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে অবস্থিত ইউনিয়ন ভূমি (তপসিল) অফিস হিসাবে এখন পরিচিত। ১৮০০ সালে চুন শুড়কী দিয়ে নির্মিত ৬রুম বিশিষ্টি একতলা বাড়ি যার নাম নীলকুঠি, তার সাথে দাড়িয়ে আছে ৭টা বহু পুরানো দেবদার গাছ। এ ছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়নের পচামাদিয়া গ্রামে এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদে নিলকুঠি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ সরকার যা এখন নষ্ট হয়েগেছে।

জানা গেছে, ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পলাশী যুদ্ধে হারানোর কয়েক বছর পরে, ইংল্যান্ডে বস্ত্রশিল্পে নীলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। ১৭৭৭ সালের পরপরই অধিক লাভের আশায় বাংলায় নীলচাষের জন্য পাঠানো হয় কয়েকজন নীলকর। এর মধ্যে তৎকালীন পুর্ব বাংলার অংশ, বর্তমান কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি নিলকুঠি স্থাপন করেন ব্রিটিশ সরকার এবং এ অঞ্চলের দায়িত্ব নিয়ে আসেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি।

এখানকার মাটি নীলচাষের উপযোগী হওয়ায় সরল মানুষদের দিয়ে নীল চাষ করাতেন ইংরেজ টমাছ ভ্যান কেলি। কৃষকরা যদি নীল চাষ করতে না চাইতো তখন কৃষকদের ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করা হতো নীলচাষে। বন্দি করে রাখা হতো এই নীলকুঠি ঘরে। বাঙ্গালীদের স্বাধীনতা ছিল শৃঙ্খলে বন্ধি। তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হতো না। সেই সময় বাঙালিরা ছিল বর্বর জাতি।

১৯৪৭ সালে বাংলা ও ভারতের পৃথকীকরণের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশের সীমানা প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের ফলে এই অঞ্চলটি নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তনে পরিণত হয়। পাকিস্তানীদের শাসন আমলে বিভাগ, জেলা, উপজেলায় ভাগ করা হয়। কর আদায়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে দুই জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়, সিও রেভ (রেভিনিউ কর্মকর্তা) ও সিও ডেব দৌলতপুর (কর্মকর্তা), উপজেলার এ অফিস (সিও অফিস) নামেও পরিচিত ছিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এ নিয়ম বাতিল করে দুইজন কর্মকর্তার পদবীর নাম পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভুমি করেন। সিও অফিসের কার্যক্রম বিলুপ্তি ঘোষনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োন্ত্রনে আনেন বঙ্গবন্ধু সরকার। এ নিল কুঠিবাড়ি প্রায় ৭ একর জায়গা নিয়ে এখন হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের (ইউনিয়ন ভুমি) অফিস হিসাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ কুঠিবাড়ি দীর্ঘ ২শ বছর সেবা দিয়ে আসলেও ওয়াল গুলো সুরক্ষা থাকলেও উপরের ছাদ অকেজো হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বর্তমান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ২শ’ বছরের পুরনো নিল কুঠির টালিছাদ দুর্বল হয়ে পড়ায় বৃষ্টি হলে কিছু জায়গায় পানি পড়ে। এর মুল কাঠামো ঠিকরেখে সংস্কার করলে প্রাচীন এই নিল কুঠিবাড়ী আরো অনেক দিন ইতিহাসের স্বাক্ষি হয়ে থাকবে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ ওবাইদুল্লাহ বলেন, আমি কুঠিবাড়ীতে গিয়েছিলাম এখানে কাজ করার সুযোগ আছে, আমি চেষ্টা করবো বরাদ্দ নিয়ে সংস্কার। তিনি আরো বলেন, মাননীয় জেলা প্রসাশক জনাব আসলাম হোসেন উক্ত নিল কুঠিকে জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক করার জন্য প্রস্তাব রেখেছেন। খুব শিঘ্রই এই নিল কুঠি জাদুঘর ও ডিসি ইকো পার্ক দেখতে পাবে এলাকাবাসী।

Continue Reading

খুলনা বিভাগ

কলারোয়ায় এলএসডি উদ্ধার, আটক ১

Avatar photo

Published

on

কলারোয়া প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আবারও উদ্ধার করা হয়েছে ৪ বোতল ভয়ংকর মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড) এবং এ ঘটনায় সাহেব আলী (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কলারোয়া থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। সে কাঁদপুর গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে।

কলারোয়া থানার এসআই রাজীব মন্ডল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁদপুর গ্রামে পরিচালিত অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী সাহেব আলীকে আটক ও তার শয়ন কক্ষ থেকে চার বোতল ভারতীয় এলএসডি (প্রতি বোতলে ৫০ এমএল) উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

কলারোয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামীর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ২৯(ক)/৪১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Continue Reading