জাতীয়
শীঘ্রই বেরোবির সকল সমস্যা সমাধানে উপাচার্যের আশ্বাস
কি উদ্যেগ গ্রহণ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য জানান, আগামীকাল(সোমবার) শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার ও আলোচনা করার জন্য আহব্বান জানিয়ে দুটি চিঠি আন্দোলনরতরত শিক্ষক সমিতির কাছে পৌছে দেওয়া হবে। পূর্বের সব দ্বিধাদ্বন্দ ভূলে গিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনে ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় আলোচনা ব্যপারে তিনি বলেন, আশা করছি ২/১ দিনের মধ্যে আলোচনায় বসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান এই সংকটেও প্রায় ৪১ দিন ঢাকায় থাকার ব্যাপারে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন সময়ে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করে এ সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, স্পিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ দূত, সংসদ সদস্য আশিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ে বিষয়গুলো নিয়ে সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। তিনি আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য গতকালই রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়রের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছেন।
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় তিনি ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। উপাচাযের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা ভোর থেকেই উপাচার্যকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়ার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল গেটে মুখে ও মাথায় কালো কাপড় বেধে এবং হাতে কালো পতাকা নিয়ে অবস্থান করেন। সকাল থেকে উপাচার্য আসার কথা শুনে এলাকাবাসী, সাংবাদিক সমাজ, ও উপাচার্য বিরোধীরা ক্যাম্পাসের মুল গেটে অবস্থান করে। কিন্তু অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজ বাসভবনের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা গেট দিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সহ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার দাবিতে কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক মোজাহার আলীর সভাপতিত্বে দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কমোড়ে জনসমাবেশ করেছে রংপুর বাসী।