জাতীয়
সাত খুনের ঘটনায় একটি মামলা বাতিলে তারেক সাঈদের আবেদন খারিজ
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৬১(ক) ধারায় মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন তারেক সাঈদ। নারায়গঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজর কুমার পাল এ মামলা দায়ের করেন। তারেক সাঈদের আবেদনে এ মামলাটি বাতিল চাওয়া হয়। মামলা বাতিল আবেদনে বলা হয়, আইন অনুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলা চলতে পারে না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। আবেদনে মামলার আইনগত বৈধতা নেই বলে দাবি করে মামলা বাতিলের আরজি ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
গত ১৩ মার্চ তারেক সাঈদের আবেদনের ওপর শুনানি হয়। তারেক সাইদের পক্ষে তার আইনজীবী এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ তারেক সাঈদের আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে তারেক সাঈদের আবেদন শুনানির জন্য ওইদিন উত্থাপিত হয়। পরে বেঞ্চের একজন বিচারপতি বিষয়টি শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন। পরে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে পাঠান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে নারায়গঞ্জের একটি আদালত। এখন এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
সাত খুন মামলায় গত ২৮ এপ্রিল র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। অপহরণের তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্মা নদী থেকে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাতজন হলেন- নজরুল ইসলাম, তার সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তার গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামী করে মামলা করে নজরুলের পরিবার। পরে নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের পরিবারের পক্ষে বিজয় কুমার অপর মামলাটি দায়ের করেন।