Connect with us

গাইবান্ধা

সুন্দরগঞ্জে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত, ধামা-চাপা দিতে রিপোর্ট গায়েব

Published

on

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতাঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিশু শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাকে (১২) পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সহকারি শিক্ষক রবিউল ইসলামের (২৫) বিরুদ্ধে। গুরুত্বর আহতের বিষয়টি ধামা-চাপা দিতে ডাক্তারি পরিক্ষার রির্পোট গায়েব করার অভিযোগও উঠেছে প্রধান শিক্ষক রুপালী রানীর বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইটকা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তালুক ফলগাছা গ্রামের আঃ ছালাম মিয়ার ছেলে এবং শিক্ষক রবিউল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (প্যারা) ও একই ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের আঃ হামিদ মিয়ার ছেলে। এ মারধরের ঘটনা বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে ঘটেছে। শুক্রবার সকালে শিুশু শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম সাথে দেখা হলে সে জানায়, ঘটনার সময় ইংরেজি ক্লাশ চলছিলো। লাষ্টের দিকে (শেষের দিকে) একটা ওয়ার্ড ভুল বাচছে (হয়েছে)। তারে জন্যে আমাক কোবাইছে (মারছে)। দুটি বেত একঠাই করি (একত্র করে) দশবার মারছে। তোর গায়ে গোস্ত বেশি সে জন্যে মারতে আরাম পাওয়া যায় বলে আর মারে। এসময় সউগ (সকল) ছাত্র-ছাত্রী আমার দিকে তাকে (তাকিয়ে) আছিল (ছিলো)। এর আগের ক্লাশ গণিতেও স্যার আমাকে পাঁচটা ব্যাত (বেত) মারছে। এছাড়াও কোচিং ক্লাশেও তাকে নিয়মিত মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন শিশু শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। শিক্ষার্থীর বাবা আঃ ছালাম মিয়া বলেন, বিষয়টি জানার পর বাচ্চাকে নিয়ে সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে যাই। সঙ্গে প্রধান শিক্ষক রীনা রানী সরকারও ছিলেন। ডাক্তার দেখার পর এক্সেরে করাতে বলেন। এক্সেরে রিপোর্ট বের হওয়া মাত্র প্রধান শিক্ষক তা নিয়ে গায়েব হন। এখন পর্যন্ত তার কোন খোঁজ পাইনি। বাচ্চার অবস্থা আরোও খারাপ মনে হচ্ছে। তাই আবার ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষক রবিউল ইসলাম মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, আমি এ ঘটনায় লজ্জিত। বুঝতে পারিনি, এটা আমার ভুল হয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ হান্নান মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বাচ্চাটির চিকিৎসা করাতে আমি প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি। যা খরচ লাগবে আমি বহন করবো। প্রধান শিক্ষক রীনা রানী সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার (বামনডাঙ্গা ক্লাষ্টার) পরিমল চন্দ্র রায় জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *