Connect with us

বিনোদন

স্টার জলসা-জি বাংলা বন্ধের শুনানি হাইকোর্টে

Published

on

বিনোদন ডেস্ক: ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে অংশ নিতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান।

বুধবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির কথা রয়েছে।

স্টার জলসা, স্টার প্লাসের পক্ষে রুল শুনানিতে অংশ নিবেন সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু।

অপরদিকে জি-বাংলার পক্ষে শুনানি করবেন ব্যারিস্টার সামসুল হাসান।

এর আগে গত ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি হাইকোর্টে ভারতীয় তিনটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা বন্ধে জারি করা রুলের উপর শুনানি হয়েছে।

ব্যারিস্টার সামসুল হাসান জানান, ‘জি বাংলার বাংলাদেশের পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশন ওয়াইড মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত আমাদের আবেদন আদালত গ্রহণ করেছেন। আমি ও আমার টিম আজকের রুল শুনানিতে অংশ নেব।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

২০১৪ সালের ২ আগস্ট দৈনিক আমাদের সময় ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ গেল এক যুবক ও মেয়ে শিশুর। পাখি চরিত্রে রূপদানকারী তরুণীর পোশাকের অনুকরণে এবার ‘পাখি’ নামের একটি পোশাক দেশের ঈদবাজারে জমজমাট ব্যবসা করেছে। ঈদে চড়া মূল্যের এ জামা নতুন স্ত্রীকে কিনে দিতে না পারার ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করেছে প্রান্তিক শ্রেণির এক যুবক। পাখির মরণকামড় থেকে ছাড় পায়নি দশ বছরের শিশুও। পাখি নামের পোশাক না পেয়ে অভিমানে ঈদের দু’দিন আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

পত্রিকার এই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট জনস্বার্থে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের ওপরই এখন শুনানি চলছে। বিডিপত্র/আমিরুল

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *