Connect with us

কিশোরগঞ্জ

হোসেনপুরে অগ্নিকান্ডে শিশুসহ দুই গবাদিপশুর মৃত্যু

Avatar photo

Published

on

News 116

news 116-1

 

এখলাছ উদ্দিন রিয়াদ, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: 

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক ভযাবহ অগ্নিকান্ডে শিশুসহ গবাদিপশুর মর্মামিত্মক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সংশিস্নষ্ট সূত্রে জানাযায়, গতকাল সোমবার(১১মে) ভোরে উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের-চর গ্রামের কৃষক মোঃ শরীফ মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে নিমিষেই পাশের রান্না ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। গোয়াল ঘরে থাকা শরীফের দুইটি গবাদিপশু ও এ সময় রান্না ঘরে থাকা সানজিদা আক্তার (৬) নামের এক বাক্-প্রতিবন্ধি শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তাছাড়া,অপর আরেকটি গরম্নর বেশির ভাগ অংশ পুরে যায়। নিহত সানজিদা কয়েকদিন আগে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তার পিতা নাসির উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার চৌদার গ্রামে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার সোহেল রহমান,এএসপি সার্কেল মোঃ জামাল উদ্দিন,ওসি মোঃ নান্নু মোলস্না,সিদলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরম্নজ্জামান কাঞ্চন ঘটনাস্থর পরিদর্শন করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

কিশোরগঞ্জে মদ্যপানে আ.লীগ নেতাসহ ৪ জনের মৃত্যু

Avatar photo

Published

on

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় মদপান করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনসহ চারজন মারা গেছেন।

অপর তিনজন হলেন, জহির রায়হান (জজ মিয়া), গোবিন্দ বিশ্বাস ও দিলু মিয়া। এ ছাড়া হাবিবুর রহমান নামে আরেকজন ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে আছেন বলে জানা গেছে। তারা সবাই রোববার রাতে মদ্যপান করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কুলিয়ারচরে একটি মদের দোকান থেকে মদ্যপান করে তারা রোববার রাতে বাসায় যাওয়ার পর বমি করতে থাকে।

পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সোমবার সকালে একের পর এক তারা হাসপাতালে মারা যান।

হাবিবুর রহমানকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাতে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠালে তিনি সেখানে লাইফসাপোর্টে আছেন।

কুলিয়ারচর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, তারা মদ্যপান করে এর বিষক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

Continue Reading

কিশোরগঞ্জ

প্রথমবারের মতো অসময়ে তরমুজ চাষে সফল কৃষকরা

Avatar photo

Published

on

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথমবারের মতো অসময়ে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চার কৃষক। ভালো ফলন হওয়ায় তাদের মুখে খুশির হাসি। কম খরচে বেশি ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন তারা।

আর কৃষি অফিস জানাচ্ছে, তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভিন্ন সিজনে তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবেন তারা। এসব চাষিদের সফলতা দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকে। উচ্চ ফলনশীল জাতের তরমুজ চাষে কৃষকদের পরামর্শ, বিনা মূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মঞ্জুনগর এলাকার হাওরে ৩০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আগাম জাতের উচ্চ ফলনশীল তরমুজ চাষ করে তাক লাগান সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভবপুর থানার বাঘগাঁও গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে আসা কৃষক কাউসার, সেলিম ও রহমতুল্লাহ এবং ভৈরবের মৌটুপী গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া। এরই মধ্যে এগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সরেজমিন দেখা যায়, হাওড়ের ক্ষেতে সবুজ পাতার ফাঁকে দেখা যায় কালো রঙের তরমুজ, আবার উঁকি মেরেছে সবুজ ও বাংলালিংকের মতো তরমুজ। পরিপক্ব জমিতে আগাম তরমুজ এরই মধ্যে তাদের আশপাশে ভিড় করেছেন আগ্রহী কৃষকের দল। ইতোমধ্যে আগাম জাতের তরমুজ ও চাষের পদ্ধতি নিয়ে পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন তারা।

কৃষকরা জানান, তারা স্থানীয় কয়েকজন কৃষকদের নিয়ে শীতকালে তরমুজ চাষের সাহস দেখান। সাধারণত তরমুজকে গ্রীষ্মের ফল হিসেবেই চেনে সবাই। কিন্তু অসময়ে আগাম জাতের তরমুজ চাষের ঝুঁকি নিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তারা। এসব জাতের তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাজার দরও বেশ চড়া থাকায় তারা বেশ খুশি।

তরমুজ চাষি সেলিম মিয়া বলেন, এ পর্যন্ত তরমুজ চাষে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরও ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হতে পারে। এখন জমিতে কিছু তরমুজ কাটা শুরু করেছি। বাজারে আগাম জাতের তরমুজের চাহিদা থাকায় জমি থেকেই পাইকাররা তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

তরমুজ চাষি আবু কাউছার বলেন, আমি একজন প্রবাস ফেরত কৃষক। এই প্রথম আমিসহ সুনামগঞ্জ থেকে আসা আরও তিনজনকে নিয়ে ভৈরবে প্রাথমিকভাবে ৩০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছি। জমি থেকে পাইকারা ৬০ টাকা কেজি দামে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই বছর জমিতে ভালো ফলন হয়েছে আশা করছি সামনে আরও লাভবান হবো।

তরমুজ চাষি আবু কাউছার আরও বলেন, আমাদের তরমুজ চাষাবাদ দেখে পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কিভাবে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করা যায় সে বিষয়ে জানতে প্রতিদিনই ভিড় করছে কৃষকরা।

অত্র এলাকার কৃষকরা জানায়, বাণিজ্যিকভাবে চাষের চিন্তা শুরু করেন তারা। ফলন হবে কি-না না হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন সবাই। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম বছরই তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে জমির একাংশে ম্যাটান ব্ল্যাক টাইগার জাতের তরমুজ এবং বাকি অংশে বাংলালিংক ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তারা। এখনো পর্যন্ত যে পরিমাণ তরমুজ ফলন হয়েছে তাতে করে অনেক লাভের আশাবাদী তারা।

সাদেকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরকার মো. সাফায়াত উল্লাহ বলেন, আমাদের এই মঞ্জুনগর এলাকার হাওরে এই প্রথম আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছে। আশা করা যাচ্ছে তারা ভাল ফলন পাবে।

তিনি আরও বলেন, ভৈরবে আরও চর এলাকা আছে সেদিকে তাদের মত তরমুজ চাষ করলে আরও লাভবান হবে।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপীর মঞ্জুরনগর এলাকায় স্থানীয় কৃষক কাউছারসহ সুনামগঞ্জ থেকে আসা আরও তিনজন কৃষক প্রথমবারের মতো আগাম জাতের তরমুজ চাষাবাদ করেছেন। মৌটুপীতে বড় আকারে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। যদি আবহাওয়া ভাল থাকে তাহলে তারা অধিক লাভবান হবে। তাদেরকে দেখে আরও অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে তাই তরমুজ চাষে আমাদের মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করেছে। আমরা আশা করছি তারা অসময়ে তরমুজ চাষ করেছে, তাদের বাজার মূল্য খুবই ভাল পাচ্ছে এবং আমাদের ভৈরবে এই ধরনের অসময়ের তরমুজ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।

তাদের এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে ভৈরবের হাওর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মঞ্জুনগর এলাকার হাওরে এই প্রথম আগাম বিক্রিও শুরু হয়ে গেছে। কৃষকরা তাদের জমি থেকে তরমুজ কেটে জমির পাশে স্তূপ করে সাজিয়ে রাখছে পরে আবার তরমুজগুলো বাজারে বিক্রির জন্য আগত পাইকাররা পিকআপ ভ্যানে ভর্তি করে ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।

অসময়ের এই তরমুজ চাষ ও ফলন এলাকাবাসী ও কৃষি অফিসের কাছে এক বিস্ময়। ফলে মাঠভর্তি তরমুজ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দর্শনার্থীরা।

Continue Reading

কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা

Avatar photo

Published

on

বিডিপত্র ডেস্ক: সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করেছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত আন্দোলন হেযবুত তওহীদের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা। রবিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত এ সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনতা ও সুধীজনেরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক; বাংলাদেশ অনলাইন টেলিভিশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেটিভি অনলাইনের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি. পি) অ্যাড: শাহ আজিজুল হক, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি অ্যাড: ক্ষিতিষ চন্দ্র দেবনাথ, হেযবুত তওহীদের সংগঠক ও মুখপাত্র রুফায়দাহ পন্নী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাপ্পা ও নিজাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি ডা: মোহাম্মদ আব্দুর রব।
মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালিরাই একদিন সমস্ত পৃথিবীকে ‘সভ্যতা’ উপহার দিবে। ‘সভ্যতার নামে দুনিয়াতে চলছে অসভ্যতা। আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়ে মানুষকে সভ্যতা শিখিয়েছেন। তারপর আবার মানুষ অসভ্যতার দিকে ফিরে গেছে। আবারও নবী-রসুল এসে তাদেরকে সভ্যতা শিক্ষা দিয়েছেন। কাজেই এখন সভ্যতার নামে দুনিয়াময় যে অসভ্যতা চলছে, সেটারও পতন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, সা¤্রাজ্যবাদী ব্রিটিশরা আমাদের দেশে আসার আগে আমরা হতদরিদ্র ছিলাম না। আমাদের গোয়ালভরা গরু, ক্ষেতভরা ফসল, পুকুরভরা মাছ ছিল। টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত। আমাদের সমৃদ্ধি দেখে সাম্রাজ্যবাদীদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যেত। সেই জাতিকে আজ ভাত-কাপড়ের জন্য এত প্রাণপনে লড়াই করতে হবে কেন? আমাদেরকে অনুন্নত দরিদ্র বানাল কারা? কারা আমাদের তিন কোটি ভারতবাসীকে না খাইয়ে মেরেছিল তা কি আমাদের অজানা? অথচ সেই সাম্রাজ্যবাদীদের কাছ থেকে এখন আমাদেরকে ‘উন্নয়নশীল’ হবার সার্টিফিকেট নিতে হয়। না, ওই পরধনলোভী শোষকদের কাছে থেকে উন্নয়নের সার্টিফিকেট নেওয়ার দরকার নেই, আমরা বাঙালিরাই সারা পৃথিবীকে উন্নতি-সমৃদ্ধির সন্ধান দিব ইনশা’আল্লাহ।

Continue Reading