Connect with us

জাতীয়

১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনায় জিয়া পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:

70572_5555জিয়া পরিবারকে খুনি পরিবার বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতোই ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন। আর খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছেলে তারেক রহমান ও ওই সময়ের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জড়িত ছিলেন। তাই এই পরিবারটা হলো শুধুই খুনি পরিবার। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা স্মরণে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা অল্প লোভে পড়েই মানুষ হত্যার মত ঘটনা ঘটাতে পারে তারা আসলে মানুষ নয়, তারা মানুষ নামের পশু। তিনি বলেন, আজকে আমাদের এই খুনি পরিবার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। খুনিদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। তারা ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বিসর্জন দিতে চায়। এরা একটা খুনি পরিবার। এই খুনি পরিবার একটা দুর্নীতিবাজ পরিবার। শুধু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নয়, এরা একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি মদদ না থাকলে এত বড় ঘটনা হয় না। এরা বহু মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের আমলেই বাংলা ভাই গাছে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। আমাদের অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা সারাদেশকে সন্ত্রাসের জনপদ করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার সামনে যখন গ্রেনেড ছোঁড়া হল, তখন মনে হচ্ছিলো যেন কেয়ামত হচ্ছে। একটার পর একটা গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছিলো ভীষণ শব্দ করে। আওয়ামী লীগের নেতা মরহুম হানিফসহ সবাই তখন মানববর্ম তৈরি করে আমাকে রক্ষা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামলার পর তৎকালীন সরকার কোন আলামত রক্ষার চেষ্টা করেনি। তারা সব আলামত নষ্ট করে দেয়। এমনকি যারা লাশ ও আহতদের উদ্ধার করতে যায় তাদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ চালায়।
তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসা বা কোন উদ্যোগ নিতে বিএনপি সরকারকে দেখা যায় নি। এমনকি আহতদের চিকিৎসা দিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেনি। আমরা আহত এমপিরা হামলার বিষয়ে সংসদে কথা বলতে চাইলে বিএনপি সরকার আমাদের কথা বলতে দেয়নি।
বার বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবন দেয়ার মালিক আল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ ভেবেছিলেন আমাকে দিয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। এজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমার জীবন দিয়েও যদি ২২ জন মানুষকে বাঁচানো যেতো। মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। আল্লাহ ছাড়া আমি কারো কাছে মাথা নত করি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। ফাঁসির রায়ও কার্যকর শুরু হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্য তারা (বিএনপি-জামায়াত) অরাজকতা করেছে। ৩০ লাখ লোকের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা পদদলিত করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, এ স্বাধীনতা আনতে আমাদের অনেককে হারাতে হয়েছে। যে কোনোভাবে এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। আজকের বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। কারো ক্ষমতা নেই এ দেশকে পিছিয়ে দেয়। কিন্তু বাঙালি জাতিকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী গ্রেনেড হামলায় আহতদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *