Connect with us

ঠাকুরগাঁও

১ কেজি চালে ২০ কেজি কপি

Published

on

SAMSUNG CAMERA PICTURESরাণীশংকৈল(ঠাকুরগাও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলসহ দেশব্যাপী চলছে রবি শস্যের মন্দা বাজার। ২০ কেজি কপি বিক্রী করে ১ কেজি চাল কিনতে হচ্ছে। আলু, কপি, মুলাসহ সব্জি জাতীয় ফসলের চাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। হরতাল অবরোধে বিপাকে পড়েছে শস্য ক্রেতা বিক্রেতারা। এ মৌসুমে অসময়ে বৃষ্টিপাতে ধরাশায়ী হয়েছে ধান বীজতলা, গম, শরিষা, আলু চাষিরা। নষ্ট হয়ে গেছে এ সব ক্ষেতের ফসল। ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ হরতালে চলছে নানা মুখি নাশকতা। জ্বলছে দেশ, পুড়ছে মানুষ। পরিবহনের ঘাটতি থাকায় তিনগুন বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তারপরও রাস্তাঘাটে নেই কোন নিশ্চয়তা। পিকেটারদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় পুড়ছে যানবাহন, মালবাহি গাড়ি, পুড়ছে শিশুসহ মানুষ। অনিশ্চয়তার মুখে নায্য দামে কপি চাষিরা উৎপাদিত ফসলের বিক্রী নিয়ে। উপজেলায় রেকর্ড পরিমান কপি চাষ হলেও নায্য দাম না থাকায় কৃষকের মুখে হাঁসি ঝলক না থেকে হতাশার ছায়া ফুটে উঠেছে। গ্রাম এলাকার লোকজন সাধারণত বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন কিংবা ব্যাংক থেকে কৃষি ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে থাকে। ফসলের নায্য দাম না পেয়ে লোনের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ঘরবাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয়। এতে বেশি পরিমান মানষিক, আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে তারা। অনেকে এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে উম্মাদ হয়ে পড়ে আবার কেউ বা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। রাজনীতির সহিংসতার শিকার হয়ে কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেশ জাতির উন্নয়নের পথ কোনটি এমন প্রশ্ন বাংলার ঘরে ঘরে। হরতাল অবরোধের রোসানলে পড়ে কপি বিক্রী তেমন না থাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিক্রী না হলে আবার ভ্যান ভাড়া দিয়ে ফেরত নিয়ে যেতে হয় কৃষককে নয়তবা ১ থেকে দেড় টাকা দরে বিক্রী করে বাড়ি ফিরতে হয়। অথচ এক কেজি কপি উৎপাদনের পিছনে বিক্রী মুল্যের তিনগুন বেশী টাকা খরচ আছে। কপি এখন পশু খাদ্যে পরিণত হয়েছে। বেশী দামে ঘাষ না কিনে অনেকে অল্প দামে কপি কিনে গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *