Connect with us

পটুয়াখালী

  পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Avatar photo

Published

on

মোঃ অাল অালেম বিশ্বাস।  নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত পরীক্ষা ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেনে সংশ্লিস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রস্তুতি না থাকায় উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নিদৃষ্ট দিনে অনুষ্ঠিত হয়নি। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক শিক্ষা নিয়ে এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন অবিভাবকসহ অনেক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। জানা যায়, উপজেলার সরকারি, বেসরকারী মিলিয়ে ২০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে ২২এপ্রিল রবিবার থেকে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রাধমিক শিক্ষা আফিসের প্রস্তুতি না থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ২৪ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। এদিকে সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ১৫-৩৫ টাকা পরীক্ষার ফি নির্ধারন করা থাকলেও প্রথম সাময়িক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অনেক বিদ্যালয়ে ৩০-৭০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লতাচাপলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বাবু অনন্ত মুর্খাজী জানান, আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পরিপত্রনুযায়ী ফি নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তার কাছ থেকে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজা উদ্দিন বলেন, গড়ে সকল শ্রেনীর প্রতিসেট প্রশ্নপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সাত টাকা দরে ক্রয় করতে হয়। বর্তমান বাজার দরে কাগজের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পরিপত্রনুযায়ী ফি নিয়ে বাকী টাকায় পরীক্ষা গ্রহন করা কস্টকর। এর পরিবর্তন করা দরকার। এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরীক্ষা সচিব আবুল বাশার জানান, সকল শিক্ষা কর্মকর্তাদের শনিবার (২১এপ্রিল) পটুয়াখালীতে প্রশিক্ষন থাকায় নিদৃস্ট তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনি শংকর লাল বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের আগমনসহ পটুয়াখালীতে মিটিং থাকায় পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়েছে। অতিরিক্তি ফি আদায় করা হলে তাদের শাসিয়ে দিয়েন, আমরাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো

শফিকুল ইসলাম

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বাউফলের সেই লাল মিয়ার পাশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

Avatar photo

Published

on

মানবতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন। সংবাদ প্রকাশের পর বাউফলের সেই হতদরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সরজমিনে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা অসহায় দরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদারের বাড়িতে যান। এসময় তিনি লাল মিয়াকে শীতবস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং তাকে সরকারি ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এরআগে গত শুক্রবার বাংলাদেশেরপত্র অনলাইনসহ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় ‘আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন সরেজমিনে নিজের চোখে সবকিছু দেখে দরিদ্র লাল মিয়াকে কম্বলসহ তার নিজের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন। লাল মিয়াকে প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় নিয়ে আসাসহ ঘর তৈরি করার জন্য আরও আর্থিক সাহায্য প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন লাল মিয়া।

এদিকে অর্থিক সহায়তা ও ঘর পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান লাল মিয়া।

 

আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর

 

 

Continue Reading

দেশজুড়ে

আসমানী কবিতার রহিমদ্দির ঘরকেও হার মানায় বাউফলের লাল মিয়ার ঘর

Avatar photo

Published

on

বাউফলে তীব্র শীতে দুর্বিষহ ষাটোর্ধ্ব লাল মিয়ার জীবন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে শীতে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে বাউফল উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র লাল মিয়া হাওলাদার। লাল মিয়ার বসত ঘরটি যেন পল্লী কবি জসিমউদদীন এর ‘আসমানী’ কবিতার রসুলপুরের রহিমদ্দি’র ভেন্না পাতার ভঙ্গুর ঘরকেও হার মানায়।

সরজমিনে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব লাল মিয়ার শীতের কষ্ট লাঘবে এক মাত্র ভরসা পাতার ঘর। তাও চারপাশ পলিথিন বেষ্টিত বেড়া। গ্রামে ছোট চায়ের দোকান দিয়ে কোন রকম সংসার চালান তিনি। তার দুই ছেলের এক ছেলে কোন খোঁজ খবর নেয় না। আর এক ছেলে ইটের ভাটায় কাজ করে তাদের দেখাশোন করে।

লাল মিয়ার এ দুর্বিষহ জীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বুড়ো মানুষ। অতি দরিদ্র বলে কেউ খোঁজ নেয় না। শুনেছি সরকার থেকে অনেকেই ঘর পায় আমি পাই নি। এই শীতে বউ-পোলা নিয়ে কোনরকম মানবেতর জীবনযাপন করছি। দেশের নাগরিক হিসেবে আমি যেন সরকারের থেকে সকল সুযোগ সুবিধা পাই’।

সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তশালীদের নিকট তার পরিবারের থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান তিনি।

Continue Reading

দেশজুড়ে

বাউফলে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Avatar photo

Published

on

পটুয়াখালীর বাউফলে শিমুল বেগম নামের এক নারীর (২৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রী কলেজ রোড এলাকায় শিমুলের বাবার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিমুল বেগম দুবাই প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী। জুবায়ের (১০) ও জুনায়েদ (৭) নামের দুই সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১২ বছর আগে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের সঙ্গে শিমুলের বিয়ে হয়। শিমুলের স্বামী ঢাকায় ষ্টিল শীটের ব্যবসা করতেন। প্রায় ৬ মাস আগে ব্যবসায় লোকসান দিয়ে তিনি দুবাই চলে যান। এরপর থেকে শিমুল কালাইয়া কলেজ রোড এলাকায় তার বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। রোববার সকালে এলাকাবাসীর কাছে খবর পেয়ে পুলিশ বেড রুম থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় শিমুলের লাশ উদ্ধার করে।

শিমুলের বাবা বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, শিমুলের স্বামী নজরুল দেশে ব্যবসা বানিজ্য করে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারদেনা পরিশোধ না করেই দুবাই চলে যায় নজরুল। এরপর পাওনাদাররা শিমুলকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এ নিয়ে স্বামী নজরুলের সঙ্গে শিমুলের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ কারনে শিমুল রোববার ভোরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা না-কি আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Continue Reading