Connecting You with the Truth

অভিযানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কেরি বাগদাদে

সফরের শুরুতে বুধবার জর্দানে যাত্রাবিরতি শেষে তিনি ইরাকের রাজধানী বাগদাদ পৌঁছেছেন।

আইএস এর বিরুদ্ধে মিত্রদেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধ অভিযানের জন্য সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন তৈরি করাই তার এবারের মধ্যপ্রাচ্য সফরের উদ্দেশ্য।

ইরাকের পর তিনি মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী সুন্নি রাষ্ট্র সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নতুন প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির নেতৃত্বে ইরাকে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর।

আবাদির নেতৃত্বে ইরাকের প্রায় সব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সরকার গঠিত হওয়ার পর সোমাবার একে “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” বলে অভিহিত করেছিলেন কেরি। আইএস’র বিরুদ্ধে অভিযানে নামার আগে আবাদির নেতৃত্বে সরকার গঠনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে রাখা শক্তিশালী জঙ্গিগোষ্ঠি আইএস’কে পরাজিত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ ইরাকের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া সম্প্রদায়ের থেকে দূরে সরে যাওয়া সুন্নি ও অন্যান্য ইরাকি গোষ্ঠিগুলো আবাদির নেতৃত্বে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ইরাক গঠন করতে পারবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত সপ্তাহে আইএস’র বিরুদ্ধে অভিযানে মিত্র জোটের নেতৃত্বদানকারী মূল দেশ হিসেবে নয়টি দেশের নাম করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যাদের অধিকাংশই ইউরোপীয় দেশ।

এই দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ দখল করে নেয়া ইসলামিক স্টেট’কে (আইএস) পর্যদুস্ত এবং পরিশেষে পরাজিত করবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।

ইরাক ও সিরিয়ার দখলকৃত অংশে একটি ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে আইএস। পাশাপাশি দখলকৃত এলাকায় গণহত্যা, ব্যাপক বন্দিহত্যাসহ দুজন মার্কিন সাংবাদিকের শিরশ্ছেদ করেছে উগ্রপন্থী গোষ্ঠিটি।

বুধবার জঙ্গি এই গোষ্ঠিটির বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা তুলে ধরে ওয়াশিংটনে ওবামার একটি ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।

Comments
Loading...