অর্থনৈতিক স্থবিরতা নিরসনে অর্থমন্ত্রীর প্রতি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স সভাপতির আহ্বান
চট্টগ্রাম মহানগর:
দেশে বিরাজমান ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি, বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাবসহ কর্মসংস্থান এবং নতুন বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয়। এ কারণে জাতীয় অর্থনীতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এতে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ব্যাংক ঋণের সুদের হার যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি’র প্রতি গত রবিবার এক জরুরিপত্র প্রেরণ করেন। পত্রে চেম্বার অব কমার্স সভাপতি উল্লেখ করেন, আমানতের বিপরীতে ৮-৯% সুদ প্রদানের ফলে নিু আয়ের বিপুল জনগোষ্ঠী ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে জীবনযাপনে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যাংকসমূহ ঋণের বিপরীতে ১৫-১৮% পর্যন্ত সুদ আদায় করছে যা সর্বসাকুল্যে ২০% বা ততোধিক হওয়ায় নতুন বিনিয়োগে চরম স্থবিরতাসহ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে দেশীয় পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক ধার হ্রাস পাওয়াসহ, প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ ক্রমাগতহারে আর্থিক দেউলিয়াত্বের সম্মুখীন হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান সংকুচিত হচ্ছে, যার ফলে বেকারত্ব প্রকট আকার ধারণ করছে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৮০হাজার কোটি টাকা অলস থাকা সত্ত্বেও জানুয়ারি’১৪ ইং থেকে জুন’১৪ ইং পর্যন্ত বিনিয়োগের হার পূর্ব বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২% হ্রাস পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হওয়া, নতুন শিল্প কারখানা স্থাপিত না হওয়া এবং চলমান কারখানাসমূহের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন সন্তোষজনক না হওয়ায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে তার অভিমত ব্যক্ত করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক নেতৃস্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন এবং ব্যাংক কর্তৃক মামলার শিকার হয়ে দেউলিয়াত্বের পথে ধাবিত হচ্ছে মন্তব্য করে দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা নিরসন ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক ঋণের সুদের হার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণকরতঃ দেশের সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থানবৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চেম্বার সভাপতি অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।