আগামী অধিবেশনেই বিচারপতি ‘অভিশংসনে’ সংবিধান সংশোধনী -সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গতকাল সকালে রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’ আয়োজিত ‘আইভী রহমানের স্মরণসভা ও চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সুরঞ্জিত বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতি অভিশংসন ক্ষমতা ছিল। পরে সেনাসমর্থিত সরকার তা বাতিল করে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে এ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা উচিৎ ছিল। কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে তা ফিরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, আগামী সংসদ অধিবেশনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হবে। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপির এতে হৈচৈ করার কিছু নেই। যে কোনো বিষয়ে হৈচৈ করাই তাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একটি পত্রিকার স্টেটমেন্টে বলেছিলেন, বিচারপতি অভিশংসন ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হলে তিনি ভোট দেবেন। বিএনপির এ নিয়ে কথা বলার কিছুই নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল অভিযোগ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, কোথা থেকে গ্রেনেড এসেছে, কীভাবে এসেছে, তা হাওয়া ভবন জানতো। ২১ আগস্ট রক্তপাতের জন্য খালেদা ও তারেক জিয়া দায়ী। এ অভিযোগ থেকে তাদের বাঁচার উপায় নেই। মির্জা ফখরুল ইসলামকে উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তিনি কেন গরম হলেন, আর তার কোথায় লেগেছে, আমরা তা জানি। নিজেদের ভুল আর বিভ্রান্ত রাজনীতির কারণে দলীয় কর্মীদের ধরে না রাখতে পেরে তিনি গরম হয়ে গেছেন। ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা জজ লুৎফর রহমান, সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।