Connect with us

জাতীয়

আবারও নতুন জোটের আÍপ্রকাশ, নেতৃত্বে নামুল হুদা

Published

on

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে আÍপ্রকাশ করলো ২৬ দলের সমন্বয়ে গড়া নতুন জোট। নাম ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট’ (বিএনএ)। জোটের প্রধান নাজমুল হুদা নিজেই। গত কাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে নতুন এ জোট আÍপ্রকাশ করে। জোট গঠন করেই জাতিসংঘের সহায়তায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই নেত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান নাজমুল হুদা। জোট ঘোষণার পর দলের করণীয় ঘোষণা করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের প্রতি তার দলের শ্রদ্ধা বজায় থাকবে। তাদের মর্যাদা, সম্মান যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে। তাদের নামে কেউ কটূক্তি করলে তাকে প্রতিহত করবে এ জোট। সুস্থ রাজনীতির মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে দু’দলের পাল্টাপাল্টি সংঘাতের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করবে। নতুন এ জোটকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখা হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার, সংবিধান সমুন্নত রাখতে কাজ করবে জোট। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য- এ পাঁচ মৌলিক চাহিদা যাতে দেশের সকল পর্যায়ের জনগনের হাতের নাগালে পৌঁছানো যায় সে উদ্দেশ্যে কাজ করবে তার জোট। সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে। দলীয়করণের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকবে তার জোট। প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখাসহ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ও দেশে সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করতে সর্বদা সজাগ থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানে জাতিসংঘের সহযোগীতায় সংকট নিরসনের আহ্বান জানান জোটের নেতারা।
পরে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হুদা বলেন, “মুক্তমতকে আইনের মাধ্যমে স্তব্ধ করা রাজনীতির নীতি নয়। নিবন্ধন সংবিধান পরিপন্থি বিধান। রাজনীতি হলো মুক্তমতের একটি মঞ্চ। এই বিধান আগে ছিলো না।” নেতুন জোট ঘোষণার সময় বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের শেখ শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, জাগো বাঙালি দলের শেখ হাবিবুর রহমান, ইউনাইটেড মাইনরিটি পার্টির আর এম দাশ, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টির মো. ওমর ফারুক ফরাজী, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির হাজি মো. জালাল উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, গণতান্ত্রিক ন্যাপের মো. তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের দিলীপ কুমার দাশ গুপ্ত, ন্যাশনাল লেবার পার্টির আবদুল্লাহ জিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ সচেতন হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ তফসিল ফেডারেশন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন, গণ সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *