‘আমার ভেতরটা বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল’
সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির প্রাণহীন দেহ উদ্ধারকারী তুর্কি পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ছোট্ট শিশুটিকে যখন মৃত অবস্থায় হস্তান্তর করা হয় তখন তার ‘ভেতরটা বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল’।
তুরস্কের বডরাম উপকূল থেকে বুধবার তিন বছর বয়সী আয়লানের মরদেহ উদ্ধার করেন মেহমদে কিপলাক। ছবিতে দেখা যায় তিনি অত্যন্ত সযত্নে শিশুটিকে তীরে নিয়ে আসছেন। পরে এই ছবি বিশ্ববাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দেয়। আয়লানের জন্য হাহাকার করে ওঠে শত কোটি হৃদয়।
প্রথমবারের মত গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে কিপলাক বলেন, তিনি প্রার্থনা করছিলেন শিশুটি যেন জীবিত থাকে। তার ছবি তোলা হচ্ছে তাও খেয়াল করেনি কিপলাক।
মিরর পত্রিকাকে কিপলাক বলেন, ‘যখন সৈকতে আমি শিশুটিকে দেখলাম আমি তার কাছে ছুটে গেলাম এবং নিজে নিজে বললাম, ‘দয়াময় আল্লাহ, সে যেন জীবিত থাকে’।
‘আমি যখন দেখলাম সে আর বেঁচে নেই, তখন আমরা ভেতরটা বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। এটা ছিল একটা ভয়ানক দৃশ্য। এটা ছিল একটা ভয়াবহ ক্ষতি।’
আয়লান, তার ৫ বছর বয়সী ভাই গালিপ এবং তার মা রেহান এজিয়ার সাগরে ডুবে মারা যায়। তারা নৌকায় সিরিয়া থেকে কসের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে বেঁচে যান আয়লানের বাবা আবদুল্লাহ।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর