Connect with us

দেশজুড়ে

আরডিএ’র চেয়ারম্যান হলেন মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান

Avatar photo

Published

on

রাজশাহী প্রতিনিধি:

মুক্তিযোদ্ধা ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বজলুর রহমান জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। আগামী রবিবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে তিনি আরডিএ’র দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব যেন সততার সঙ্গে পালন করতে পারেন, সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন বজলুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ বজলুর রহমানের জন্ম ১৯৫২ সালের ৪ জুলাই। তার বাবা মরহুম ওসমান মণ্ডল এবং মা মরহুম রহমা খাতুন। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি বানেশ্বর ডিগ্রি কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে অধ্যক্ষ হিসেবে ওই কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপরে রাজশাহী সেন্ট্রাল ল’ কলেজের অবৈতনিক উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৬৮ সালে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৭০ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের দেরাদুনে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন বজলুর রহমান। ১৯৭৩-৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের মনোনীত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হন। ১৯৮২ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহী শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৮৬-৯০ ও ১৯৯৬-২০১১ সালের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে কাজ করে আসছেন। তিনি ১৯৮৬-১৯৯০ ও ১৯৯৭-২০০৪ সাল দুই দফায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট ও শিক্ষা পরিষদ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বিবাহিত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী ডা. নূরমহল বেগম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপ্রধান চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বিএ (সম্মান), এমএ (বাংলা), এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দেশজুড়ে

বৃহৎ চরাঞ্চলে জাপা সেক্রেটারির একক প্রার্থীতা ঘোষণা

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি সদর-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎতর চরাঞ্চলে নিজেকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়িতে ২৫ আগষ্ট শুক্রবার সকালে চরশেরপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় স্থানীয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুর রশিদ বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি। এতে জেলা জাপার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ১৪টি ইউনিয়নের জাপা নেতাকর্মী এবং সর্বসাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে শেরপুর সদর-১ আসন। এর মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল। ইতিহাস রয়েছে চরের মানুষ ঐক্যবদ্দ হয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে এমপি আর ছুটানো যায় না। স্থানীয় সাবেক এমপি শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার এরশাদের জাতীয় পার্টির মনোনয়নে শেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এরপর থেকে অত্র এলাকায় কোন দল থেকেই আর এমপি পায়নি বৃহত্তোর চরবাসী। এখানে বর্তমানে টানা ৫ বারের এমপি ও দুই বারের হুইপ রয়েছেন শেরপুর-১ সদর আসনের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। তাই শেরপুর-১ সদর আসনের বৃহত্তোর চরাঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চল হিসেবে পরিচিত বৃহত্তোর চরাঞ্চলের মানুষ একাট্টা হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাপা থেকে মনিকে মনোনয়ন এবং এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

Continue Reading

দেশজুড়ে

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ

Avatar photo

Published

on

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে শহরের থানামোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকেই । সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক দেবাশীষ ভট্টাচার্য।সভাপতির বক্তব্যে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, সেদিনের ওই ন্যাক্কারজনক হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বিএনপি এখন তাদের দোসর জামায়াতকে নিয়ে দেশরক্ষার নামে গণতন্ত্রের কথা বলে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের ছবক মানায় না। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading

দেশজুড়ে

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘড় পেয়ে উচ্ছসিত শেরপুরের ১৩৫ পরিবার

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেল ১৩৫টি হত দরিদ্র গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার। সাথে পাচ্ছেন সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর ও জমির দলিল পেয়ে দারুণ খুশি তারা।

বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত জেলা পর্যায়ে ঘর উদ্বোধন ও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও জমির দলিল তুলে দেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুম। এ সময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা চেয়রম্যান রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস প্রমুখ।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আর্থিক সহযোগিতায় ৪র্থ পর্যায়ে (২য়-ধাপ) শেরপুর জেলার সদর এবং শ্রীবর্দীতে ১৩৫টি হত দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করা হয়।এর মধ্যে -শেরপুর সদর উপজেলায় ১০২টি, ও শ্রীবর্দী উপজেলায় ৩৩টি ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী শেরপুর জেলার ৫ টি উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে ১ম,২য়,৩য় পর্য়ায়ে ৭৯৭টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৯১৯টি এবং গুচ্ছগ্রাম ও অণ্যান্য উপায়ে ১৫৪টি সহ মোট ১৮৭০টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।ইতিমধ্যে শেরপুর জেলার ৫ উপজেলাকেই ভুমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হলো।

উপকারভোগী আকলিমা,লাইলি বেগম, রফিকুল বলেন, এতদিন অণ্যেও বাড়িতে থাকছি। কত ঘাল মন্দ শুনছি। এখন আমাদের নিজের বাড়ি হইছে। এখন আর কেউ ঘাল মন্দ করতে পারবে না। আমরা কোনদিন চিন্তাও করি নাই আমাদের জমি ঘড় হবে। আমরা গরীবরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।

Continue Reading