বিবিধ

আলঝেইমার অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের বিস্ময়কর ব্যবহার

Published

on


অন্যান্য ডেস্ক:
অ্যাসপিরিন ট্যাবলেটের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন? হালকা জ্বর ও ব্যাথা কমাতে মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হয় এই ট্যাবলেটটি। বিশেষ করে সঠিক নিয়মে খেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও এড়ানো সম্ভব। কিছু কিছু ক্যান্সার ও আলঝেইমার রোগীর চিকিৎসাতেও অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট ব্যবহৃত হয়। অ্যাসপিরিনের আছে কিছু বিস্ময়কর ব্যবহার। ত্বকের যতেœ ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানান কাজে অ্যাসপিরিন ব্যবহার করে উপকার পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন অ্যাসপিরিনের বিস্ময়কর কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।

ত্বকের যতেœ
ত্বকের যতেœ অ্যাসপিরিন একটি উপকারি উপাদান। অ্যাসপিরিন ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে এবং ত্বকের থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা আছে তাদের ত্বকের যতেœর জন্য অ্যাসপিরিন একটি উপকারি উপাদান। অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে হালকা গরম পানি মিশিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এর সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পুরো মুখে মেখে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর পুরো মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক সুন্দর হয়ে উঠবে।

খুসকি দূর করতে
অনেকেরই মাথায় খুশকির সমস্যা থাকে। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যাসপিরিন বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। দুই তিনটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি কমে যাবে এবং খুশকির কারণে মাথার চুলকানি থেকে রেহাই পাবেন।

পোকার কামড়ে আরাম পেতে
মশা কিংবা অন্য কোনো পোকার কামড়ে আমাদের ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যায় এবং চুলকাতে থাকে। পোকার কামড়ের কারণে সৃষ্টি হওয়া জ্বালাপোড়া বা চুলকানি কমাতে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাসপিরিন। অ্যাসপিরিন গুঁড়ো করে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার পোকার কামড়ের স্থানে পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এতে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমে যাবে অনেকটাই।

দাগ দূর করতে
মাঠে বসলে অনেক সময়ে কাপড়ে ঘাসের দাগ লেগে যায়। কাপড়ে ঘাসের দাগ লেগে গেলে সেটা দূর করতে অ্যাসপিরিন বেশ উপকারি। হালকা গরম পানিতে তিনটি অ্যাসপিরিন গুড়া করে মিশিয়ে দিন। এরপর সেই পানিতে দাগ লেগে থাকা অংশটি চুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর দাগ লাগা স্থানটি ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। দাগ চলে যাবে বেশ সহজেই।

বাগানের যতেœ
পানিতে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট মিশিয়ে নিন। এবার এই পানিটা আপনার বাগানের গাছে ব্যবহার করুন মাসে দুই বার। গাছের গোড়ার থেকে একটু দূরেই দিন পানিটা। এতে গাছ থাকবে ফাঙ্গাস মুক্ত এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version