ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা প্রধান মোহাম্মদ দাঈফের স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ অন্তত ১১ জন নিহত
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলের চালানো নতুন বিমান হামলায় হামাসের সশস্ত্র শাখা প্রধান মোহাম্মদ দাঈফের স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।
অস্ত্রবিরতি ভাঙার পর দাঈফকে হত্যা করতেই ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে হামাস।
ইসরায়েলকে এর জন্য দোষারোপ করে হামাস তেল আবিব এবং জেরুজালেমে পাল্টা রকেট হামলাও চালিয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, মঙ্গলবার থেকে হামলা শুরুর পর তারা ৬০ টি বিমান হামলা করেছে। অন্যদিকে, হামাস ৮০ টি রকেট ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
এ সহিংসতার কারণে গাজায় ১০ দিনের শান্ত অবস্থা আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে। দু’দফায় তিন ও পাঁচ দিন পর গাজায় তৃতীয় দফায় ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত। ওই সময় শেষের কয়েক ঘণ্টা আগেই হামলার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়।
বুধবার সকালে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসাকর্মীরা। আর আহতের সংখ্যা এরই মধ্যে সব মিলিয়ে ১শ’ তে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতের হামলায় হামাসের সামরিক শাখার প্রধান দাঈফ বেঁচেছেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে কায়রোয় হামাসের নির্বাসিত উপনেতা মুসা আবু মারজুকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, হামলায় নিহত দুইজনের একজন হচ্ছেন তার স্ত্রী এবং অপরজন তার শিশুসন্তান।
কয়েকবছর আগে ইসরায়েলে আত্মঘাতী বোমা হামলার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে দাঈফের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলের কয়েকটি আত্মঘাতী হামলা থেকে তিনি বেঁচে গেলেও মারাত্মকভাবে আহত হয়ে অক্ষম হয়ে গেছেন বলে জানা যায়।
গত ৮ জুলাই থেকে গাজায় হামাস বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এক মাসেরও বেশি সময়ের অভিযানে দুই হাজার ৮০ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের মধ্যে কয়েকশ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন বলে গণমাধ্যমগুলোর খবরে এসেছে।