আন্তর্জাতিক
ইসলামাবাদের ‘রেড জোন’-এ ইমরান খান; ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নওয়াজ শরিফের
বুধবার পাকিস্তান আওয়ামি তাহরিক (পিএটি) দলের নেতা ড. তাহির-উল কাদরি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো সদস্যকে পার্লামেন্টে ঢুকতে বা পার্লামেন্ট থেকে বেরোতে দেবেন না তারা। ধর্নায় প্রতিবাদী সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান ঘোষণা করেন, “নওয়াজ শরিফ পদত্যাগ না করলে তার বাসভবনে ঢুকে পড়বেন বিক্ষোভকারীরা।”
শরিফ-ঘনিষ্ঠ রেলমন্ত্রী খাজা সাদ রফিক টুইট করেছেন, দেশের স্বার্থেই ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নওয়াজ শরিফ। সূত্রের খবর, নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল ইমরানকে দেখতে দেবেন তিনি। ২০১৩ সালে ৩৪২টির মধ্যে ১৯০টি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নওয়াজ শরিফ। ইমরান খানের দল পায় ৩৪টি আসন। তখনই অভিযোগ ওঠে, কারচুপি করে জিতেছেন নওয়াজ। দাবি ওঠে পুনর্নির্বাচনের। দাবি ওঠে নওয়াজ শরিফের পদত্যাগের। সেই দাবিতেই সাত দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীকে যতটা সম্ভব সংযত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেনা মুখপাত্র আসিম সেলিম বাজওয়া বলেন, “ধৈর্য্য ও বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থেই হঠকারী পদক্ষেপ করা যাবে না এখন।”
অন্য দিকে, ইমরান খান ও তাহির-উল কাদরিকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় আগেই আগাম নির্দেশিকা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন কাদরি ও ইমরানের বিরুদ্ধে মূলতান বার অ্যাসোসিয়েশনের দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ জানিয়েছে, বেআইনি ভাবে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকার বিরোধী দুই দলনেতার বিরুদ্ধে। তবে সুপ্রিম কোর্ট এ-ও জানিয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার সকলেরই রয়েছে। যতক্ষণ না কোনো মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ করা যাবে না তাদের বিরুদ্ধে।