Connecting You with the Truth

এবার পাবনা জেলায় ৩’শ ১৬টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা:
পাবনার বেড়ায় ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজায় দেবীদুর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৪ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। ৪ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
শাস্ত্রমতে এবারে দেবী দুর্গা গজে আগমন করবেন এবং দোলায় চরে চলে যাবেন। এদিকে প্রতিমা নির্মাণের শেষ মুহূর্তে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে দেউরীরা। মন্দিরগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে দফায় দফায় মিটিং করছে পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় প্রশাসন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ও বেড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবল রায় দীপকে জানান, ইতোমধ্যে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি থানায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মহা অষ্টমী ও নবমীতে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানা গেছে। বিজয় দশমীর পরেই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা অনুষ্ঠিত হবে বিধায় নির্দিষ্ট তারিখেই প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার জন্য জেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। এবারে পাবনা জেলায় ৩ ’শ ১৬টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাবনা সদরে ৪৭টি, ঈশ্বরদী ২৫ টি, আটঘড়িয়া ১৫টি, ভাঙ্গুড়া ১৫টি, ফরিদপুর ১৪টি, চাটমোহর ৪৭টি, সাঁথিয়া ৪১টি, বেড়া ৪৯টি এবং সুজানগরে ৫৯টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিমা নির্মাণে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১ ’শ ৬০ মে. টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে প্রতিটি প্রতিমার জন্য ৫’শ কেজি চাউল ইতোমধ্যেই প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, যেহেতু হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সেহেতু যেন নির্ভয়ে ও যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করতে পারে সেজন্য তাদের সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

Comments
Loading...