Connecting You with the Truth

এবার সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম

Dudokস্টাফ রিপোর্টার:
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে প্রায় ৮২ কোটি টাকা আÍসাতের
অভিযোগে সাবেক মেজর জেনারেল জালাল উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত
নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অর্থ আÍসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গতকাল দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একট টিম গঠন করা হয়েছে। ওই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক দেবব্রত মণ্ডল ও উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের গ্রাহকরা দুদকে অভিযোগ করেন, এ প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা রাখলে ব্যাংকের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা পাওয়া যাবে বলে তাদের বুঝানো হয়েছে। আর মুনাফার টাকা প্রতি মাসের ১ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, জমাকৃত টাকা তুলতে চাইলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে তা ফেরৎ দেওয়া হবে বলেও মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দীন আহমেদ গ্রাহকদের প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। তার এ আশ্বাসের ভিত্তিতে গ্রাহকরা ওই প্রতিষ্ঠানে অর্থ জমা রাখেন। এক হাজার ৪৫১ জন বিনিয়োগকারীর মোট ৮২ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন জালাল উদ্দিন। অভিযোগে বলা হয়, কিছু গ্রাহক তাদের জামানত ফেরৎ চাইলে জালাল উদ্দীন আহমেদ তা দিতে গড়িমসি শুরু করেন। ডিসেম্বরে তিনি অডিটের কথা বলে ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি জামানত ফেরৎ দেবেন বলে গ্রাহকদের জানান। ওই দিনও তিনি জামানত ফেরৎ দিতে ব্যর্থ হন। ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা টাকা ফেরৎ না পেয়ে জালাল উদ্দীন আহমেদের বাড়ির (রোড নং ০৮, প্লট নং ৪৩/ই, ৩২ ক্যান্টমেন্ট বাজার, ঢাকা সেনানিবাসের পাশে) সামনে জড়ো হন। ওই পরিস্থিতিতে তিনি গোয়েন্দা সংস্থা, মিলিটারি পুলিশ, লজিস্টিক এরিয়া কমান্ডার, স্টেশন কমান্ডার, প্রভোস্ট মার্শাল ঢাকা-এর উপস্থিতিতে ২০১৩ সালের ১ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে সব টাকা পরিশোধ করবেন বলে মুচলেকা দেন। কিন্তু ওই তারিখেও টাকা ফেরৎ দিতে পারেন নি জালাল উদ্দীন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

Comments
Loading...