Connect with us

দেশজুড়ে

ওজন সীমার অতিরিক্ত পন্যবাহী ট্রাক চলাচল; অকালেই নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক

Avatar photo

Published

on

PANCHAGARH APPEL  NEWS 27.01

আসাদুজ্জামান আপেল, পঞ্চগড়:


পঞ্চগড়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন সড়কে অনুমোদিত ওজন সীমার অতিরিক্ত ওজনের পন্যবাহী ট্রাক চলাচলের ফলে সময়ের আগেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাতীয় মহাসড়কসহ আন্তজেলার বিভিন্ন সড়ক। ওজন নিয়ন্ত্রণে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কের শিংপাড়া এলাকায় এক্সেললোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের পন্য পরিবহনের ফলে তিন মাসের মাথায় এক্সেললোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত ওজনের পন্যবাহী পরিবহন অবাধে চলাচল করছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলা সড়কেও ওজন সীমার অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচলের ফলে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন সড়ক। একই কারণে উদ্বোধনের কয়েক দিনের মাথায় পঞ্চগড়-বেংহারি-মাড়েয়া-দেবীগঞ্জ জেলা সড়কটি মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার জাতীয় ও বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে ছয় চাকার ট্রাকের পন্য পরিবহনের সর্বোচ্চ ওজন সীমা ১৫ টন। কিন্তু এসব ট্রাকে ৩০ থেকে ৩৫ টন পাথরবালি অবাধে পরিবহন করা হচ্ছে। এছাড়া ১০ চাকার ২২ টন ওজন সীমার ট্রাকে ৫০ থেকে ৫৫ টন পর্যন্ত পাথরবালি পরিবহন করা হচ্ছে। অনুমোদিত ওজন সীমার অতিরিক্ত ওজনের পন্যবাহী ট্রাক অনিয়ন্ত্রিত চলাচলে জেলার গুরুত্বপুর্ন জাতীয় মহাসড়কসহ জেলা সড়কগুলো অকালেই নষ্ট হচ্ছে। এসব সড়ক দিয়ে বিভিন্ন আকারের ট্রাকে ঝুকিপুর্ন উচু করে বৈদ্যুতিক খুটি, রেল ¯িøপার, পাথর ও বালি পরিবহন করা হয়। এতে বিভিন্ন এলাকায় জেলা সড়ক নির্মাণের কয়েক দিনের মধ্যে ইট বিটুমিন উঠে নষ্ট হয়ে যায়। অল্প দিনেই ফাটল ধরে দীর্ঘস্থায়ী টেকশই হয়না সড়কগুলো। পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহন চলাচলসহ সাধারণ পথচারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের গোচ্ছা যাচ্ছে কোটি কোটি। এই অপকর্মে সংশ্লিষ্ট বালু মহালের ইজারাদারসহ স্থানীয় বালি ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান, হানি, মো. তফাজ্জল, ঝুটি পাগলাসহ বেশ কয়েকজন জড়িত বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ জেলা সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, প্রায় আট কোটি টাকা ব্যায়ে ৩১ কিমি জেলা সড়কটি সংস্কারের পর চালু করে সড়ক বিভাগ। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সংস্কারের সময় সড়কটিতে কার্পেটিং এর পুর্বে দুই ইঞ্চি মোটা পাথরের স্তর (বাইন্ডার কোর্স) দেওয়া হয়নি। বিধি অনুযায়ী এই সড়কের ধারনক্ষমতা ১০ চাকার ট্রাকে পন্যসহ সর্বোচ্চ ২২ মে. টন। কিন্তু সড়কটি চালুর পর থেকেই ১০ চাকার ট্রাকে ৪০ থেকে ৪৫ মে. টন পর্যন্ত ভেজা বালি এবং পাথর পরিবহন শুরু হয়। ১০ চাকার প্রতিটি ট্রাকের ওজন প্রায় ১০ মে. টন এবং পন্যসহ ওজন প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ মে. টন। বালি এবং পাথরভর্তি এসব ট্রাক অবাধে চলাচলে সড়কটির ধুলাঝাড়ি থেকে পাক্রীতলা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিমি এলাকা মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিভিন্ন স্থানে ফাটলসহ সংস্কারের কার্পেটিং উঠে গেছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং রক্ষনাবেক্ষন অধিশাখা কর্তৃক ওজন সীমার অতিরিক্ত ওজনের পন্যবাহী ট্রাক চলাচল নিয়ন্ত্রনে নির্দেশনা রয়েছে। অজ্ঞাত কারণে সড়ক রক্ষার্থে কোন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে ধুলাঝাড়ি থেকে পাক্রীতলা এলাকায় ওয়াই জংশন পয়েন্ট স্থাপনসহ জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে দাবি স্থানীয় সড়ক বিভাগের।
এদিকে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে ওই সড়কের উপরে ১০ চাকার ট্রাকে বালি তোলে বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন করছেন। সড়কের উপর বালির বড় বড় স্তুপ এবং সেথান থেকে বালি ট্রাকে তোলার (লোড) ফলে অন্যান্য পরিবহন চলাচলসহ স্থানীয় পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে বালি ব্যবসায়ী ওই চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না। অন্যদিকে সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকেও অজ্ঞাত কারণে অতিরিক্ত ওজনের পরিবহন নিয়ন্ত্রনে শক্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বোদা উপজেলার বেংহারি ইউনিয়নের তেপুকুরিয়া এলাকার আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের এই ছোট রাস্তার উপরে প্রতিদিন বড় বড় ট্রাকে বালি লোড করা হয়। এজন্য আমাদের যাতায়াতে চরম অসুবিধা হয়। আমরা কাউকে কিছু বলতেও পারি না।
করতোয়া নদীর সংশ্লিষ্ট বালু মহালের ইজারাদার আব্দুর রহমান বলেন, আমি বালু মহালটি কয়েক জনের কাছে দিয়েছি। তারা বালু উত্তোলন করেন। কিন্তু কোথায় মজুদ করেন এবং কিভাবে কোথায় পরিবহন করেন তা জানি না।
পঞ্চগড় সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুল আলম বলেন, বাংলাবান্ধা-পঞ্চগড় জাতীয় মহাসড়কে ৫০ থেকে ৫৫ মে. টন পর্যন্ত পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। যা নির্ধারিত ওজন সীমার চেয়ে অনেক বেশি। এজন্য অনেক সড়ক সময়ের আগেই নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ জেলা সড়কটিতে কার্পেটিং এর পুর্বে দুই ইঞ্চি পুরু পাথরের একটি স্তর (বাইন্ডার কোর্স) দেওয়া হয়নি। এই সড়কের ধারন ক্ষমতা ১০ চাকার ট্রাকে সর্বোচ্চ ২২ মে. টন। কিন্তু সড়কটি দিয়ে ৫০ থেকে ৫৫ মে. টন পর্যন্ত বালি ও পাথরভর্তি ট্রাক অবাধে চলাচল করছে। এজন্য সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা ধুলাঝাড়ি থেকে পাক্রীতলা এলাকায় ওয়াই জংশন পয়েন্ট স্থাপনসহ জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের চেষ্টা করছি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

লালমনিরহাটে টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে থাকায় বর্বরোচিত হামলা, আহত ৭

Avatar photo

Published

on

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
‘টাখনুর নিচে প্যান্ট ঝুলে আছে কেন?’ এই বিষয় নিয়ে তর্ক জুড়ে দিয়ে লালমনিরহাটে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর। এতে হেযবুত তওহীদের ৭ সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে গণসংযোগকালে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।

সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, দাড়ি টুপি পড়া কয়েকজন লোক, হ্যান্ডবিল হাতে প্রচারকার্যে নিয়োজিত হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর চড়াও হয়ে তাদের স্থান ত্যাগ করতে বলছে। একজন পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে উত্তেজিতভাবে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কিসের কথা বলেন, ইসলাম কি আলাদা? জবাবে হেযবুত তওহীদের কর্মীকে বলতে শোনা যায়, ‘ইসলাম আলাদা হবে কেন? ইসলামতো আল্লার রসুল (সা.) প্রেরিত এক ইসলামই।’ এরপর পাঞ্জাবি টুপি পরিহিত দাড়িওয়ালা সেই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের টাখনুর নিচে কাপড় কেন?’ এই বলে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রচারকর্মীদের।

জবাবে হ্যান্ডবিল হাতে থাকা হেযবুত তওহীদের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আমরা অন্যায় কিছু করছি না। গায়ে হাত দিচ্ছেন কেন? আমরা কোনো অন্যায় করলে থানায় যান’।

পরমুহূর্তেই পাঞ্জাবি পড়া দাড়িওয়ালা অপর এক ব্যক্তি তাকে ধাক্কা দেয় এবং তাদের সাথে থাকা লোকজনকে লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জন করে কয়েকটি দল লাঠিসোটা, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ভিডিওতে উস্কানি দেওয়া ব্যক্তির হাতে লোহার পাইপ লক্ষ করা যায়। এবং পাইপের মাথা বাঁকানো দেখা যায়। যা দ্বারা বোঝা যায় কাউকে আঘাত করার পর পাইপটি বেঁকে গেছে।

স্থনীয়রা জানায়, হেযবুত তওহীদের লোকেরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাদের প্রচারকার্য চালাচ্ছিল। এসময় কয়েকজন হুজুর এসে তাদের প্রচারকার্যে বাধা দেয়। তাদের সুরত ও লেবাসে চরমোনাই পীরের অনুসারী বলে মনে হয়। ‘টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলে আছে কেন?’ এমন প্রশ্ন তুলে তর্ক জুড়ে দেয় তারা। কথায় কথায় ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে হুজুরদের নির্দেশে একদল লোক হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলায় হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। জানা যায়, আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

লালমনিরহাটের জেলা আমীর একরামুল হক বলেন, চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা প্রচারকার্য চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ পাঞ্জাবি, টুপি পরা কয়েকজন লেবাসধারী লোক এসে আমাদের কাজে বাঁধা দেয়। আমরা তাদের বলি, আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমরা যা করছি প্রশাসনকে জানিয়ে করছি। আমরা যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে আপনি থানায় যান। আপনার আমাদের কাজে বাধা দেবার কোনো রাইট নাই। এই কথা শুনে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পড়নের প্যান্ট টাখনুর নিচে ঝুলে পড়ল কেন? এটা কেমন ইসলাম এসব কথা বলে তাদের আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লোকেদের লাঠি নিয়ে আসতে বলে। পরক্ষণেই ৪-৫ জনের কয়েকটি দল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালায়।

হেযবুত তওহীদের রংপুর বিভাগীয় আমীর মশীউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রশাসনকে অবগত করে শান্তিুপূর্ণভাবে জনসংযোগ করছিল হেযবুত তওহীদ। হঠাৎ বিনা উস্কানিতে লেবাসধারী ধর্মান্ধ একটি গোষ্ঠী কর্মসূচিতে বাধা দেয়। ৭জন সদস্যকে তারা বেদম প্রহার করেছে। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

লেবাসধারী এই ধর্মব্যবসায়ীরা আসলে চায়না প্রকৃত ইসলামটা মানুষ জানুন। তাহলে তাদের ধর্মব্যবসা, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের মুখোশ খুলে যাবে। সেজন্যই পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের এই জনসংযোগে হামলা করেছে। হামলাকারীদের লেবাস দেখে, পোশাক-আসাক দেখে মনে হচ্ছে তারা চরমোনাই পন্থী। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তথ্য সংগ্রহ চলছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, উগ্রবাদ, ধর্মান্ধতা, ধর্মব্যবসা, অপ-রাজনীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, হুজুগ, গুজব এবং নারী নির্যাতনসহ সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে দেশব্যাপী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লালমনিরহাটেও গণসংযোগ করে আন্দোলনটির নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাটের পাটুরিয়া বাজারে ‘বাংলাদেশসহ সমগ্র মানবজাতির সংকট ও পরিত্রাণের পথ’ নামে সচেতনতামূলক একটি হ্যান্ডবিল প্রচার করছিলেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা।

Continue Reading

দেশজুড়ে

বৃহৎ চরাঞ্চলে জাপা সেক্রেটারির একক প্রার্থীতা ঘোষণা

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি সদর-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহৎতর চরাঞ্চলে নিজেকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তার গ্রামের বাড়িতে ২৫ আগষ্ট শুক্রবার সকালে চরশেরপুর ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এসময় স্থানীয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুর রশিদ বিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাপা সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক মনি। এতে জেলা জাপার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ১৪টি ইউনিয়নের জাপা নেতাকর্মী এবং সর্বসাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ১৪টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে শেরপুর সদর-১ আসন। এর মধ্যে ৮টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল। ইতিহাস রয়েছে চরের মানুষ ঐক্যবদ্দ হয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে এমপি আর ছুটানো যায় না। স্থানীয় সাবেক এমপি শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী এরশাদের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনবার এরশাদের জাতীয় পার্টির মনোনয়নে শেরপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এরপর থেকে অত্র এলাকায় কোন দল থেকেই আর এমপি পায়নি বৃহত্তোর চরবাসী। এখানে বর্তমানে টানা ৫ বারের এমপি ও দুই বারের হুইপ রয়েছেন শেরপুর-১ সদর আসনের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি। তাই শেরপুর-১ সদর আসনের বৃহত্তোর চরাঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চল হিসেবে পরিচিত বৃহত্তোর চরাঞ্চলের মানুষ একাট্টা হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে জাপা থেকে মনিকে মনোনয়ন এবং এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

Continue Reading

দেশজুড়ে

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ

Avatar photo

Published

on

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপর ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে শেরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে শহরের থানামোড় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপির সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকেই । সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক দেবাশীষ ভট্টাচার্য।সভাপতির বক্তব্যে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেন, সেদিনের ওই ন্যাক্কারজনক হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বিএনপি এখন তাদের দোসর জামায়াতকে নিয়ে দেশরক্ষার নামে গণতন্ত্রের কথা বলে। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের ছবক মানায় না। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা, উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading