কক্সবাজারে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কাঁকড়া চাষ
উপকুলীয় জেলা ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে কাঁকড়া চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সাগর বেষ্টিত এই জেলার উপকুলীয় অঞ্চলে রয়েছে কাঁকড়ার বিশাল ভান্ডার। একাধিক সূত্র মতে, জেলার উপকুলবর্তী এলাকা হিসাবে সুপরিচিত পোকখালী, ইসলাপুর, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডী, মহেশখালী, মাতারবাড়ি, পেকুয়া, ধলঘাটা, বালুখালী ও লম্বাবিল সহ আট উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ সম্ভাবনাময় এ পেশাকে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারী পৃষ্টপোষকতা এবং অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে সম্ভাবনাময় এই কাঁকড়া চাষ থেকে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ সম্পর্কে চাষীদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা গেলে এটি হয়ে উঠতে পারে দারিদ্র বিমোচনের একটি শক্তিশালী খাত। নদীর মোহনা ও সমুদ্রের আশপাশের এলাকা থেকে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা কাঁকড়া সংগ্রহ করে থাকেন এ এলাকার লোকজন। বর্তমানে বানিজ্যিক ভিত্তিতেও জেলার বহু স্থানে কাঁকড়া চাষ করা হচ্ছে। স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তৃণমূল আহরণকারীদের নিকট হতে ওজন ভেদে প্রতি কেজি ২-৫শত টাকা দরে ক্রয়ের পর সেগুলো চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকদের নিকট ৩-৬শত টাকা দরে তারা বিক্রি করে থাকেন। এরপর রপ্তানিককারকেরা সেগুলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকেন। অন্যদিকে সল্প পুজি ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়া যায় বলে উপকুলীয় এলাকা সমূহে কাঁকড়ার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে জানালেন কাঁকড়া আহরনকারী বিপুল নামের এক ব্যাক্তি। এছাড়াও নতুন শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে নতুন নতুন অনাবাদি ও পরিত্যাক্ত জমি কাঁকড়া চাষের আওতায় আনা সম্ভব হতো বলে মনে করেন স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, জেলা মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে এ ধরণের কোন পদক্ষেপ এখনও নেওয়া হয়নি। তবে নিকট ভবিষ্যতে কাঁকড়া চাষীদের উন্নয়নে যথাসম্ভব সব ধরণের সহায়তাই প্রদান করা হবে।