Connecting You with the Truth

কাশ্মিরি নেতাদের সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আলোচনা করায় ভারত-পাকিস্তান আলোচনা বাতিল করেছে ভারত

দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দেশ দুটির পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকের মধ্যদিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কিন্তু এই বৈঠকের আগে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন, এমন বিষয় পরিষ্কার হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ভারত।

সোমবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র আকবরউদ্দিন বলেছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে পাকিস্তানি দূতকে আগেই জানিয়েছিলেন তারা।

কিন্তু তারপরও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাকিস্তানি দূতের আলোচনা করার সিদ্ধান্তে ইসলামাবাদের মনোভাব “পুরোপুরি পরিষ্কার হয়েছে” বলে দাবি করেছেন তিনি।

“ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের নিরন্তন প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়” বলে পাকিস্তানি দূতকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান আকবরউদ্দিন।

পাকিস্তানি দূতের কার্যকলাপে “পাকিস্তানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং গঠনমূলক কূটনৈতিক উদ্যোগের মর্যাদাহানি হয়েছে” বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভারতের সিদ্ধান্তকে “বিপর্যয়” বলে বর্ণনা করেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত-পাকিস্তান আলোচনাকে সামনে রেখে কাশ্মিরি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা দীর্ঘদিনের একটি রেওয়াজ। কাশ্মির ইস্যুতে ফলপ্রসূ আলোচনার স্বার্থেই এটি করা হয়।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিষেক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানানো ও এ উপলক্ষে নওয়াজের দিল্লি আগমণকে কেন্দ্র করে দেশ দুটির সম্পর্ক স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সম্ভাবনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হল।

গত সপ্তাহে মোদি কাশ্মিরে যুদ্ধ মহড়া চালানোর জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছিলেন।

কাশ্মিরের বিদ্রোহীদের পাকিস্তান মদদ দিচ্ছে বলে বহুদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছে ভারত। চলতি সপ্তাহেও দেশ দুটির কাশ্মির সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

Comments
Loading...