Connect with us

Highlights

কােনাবাড়ী কাশেমপুর রাস্তার বেহাল দশা

Published

on

গাজীপুর প্রতিনিধি:
কোনাবাড়ী-কাশেমপুর সড়কটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম ব্যস্ততম একটি সড়ক। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সূচনালগ্ন থেকে ব্যস্ততম এ রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। খানা-খন্দ, বড় বড় গর্ত, সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পরিমাণ কাঁদা পানি, এ যেন সড়কটির স্বাভাবিক ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ‘দেখেও না দেখার মত’। এ সড়কে কয়েকশ’ শিল্প কারখানার মালবাহী কাভার্ড ভ্যান নিয়মিত চলাচলের কারণে ভাঙ্গন পুরো সড়কজুড়ে। সড়কের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক লোডবাহী যানচলাচলও সড়কটির দুরবস্থার অন্যতম কারণ।

সরজমিনে দেখা যায়, কোনাবাড়ী থেকে কাশেমপুর প্রায় চার কিলোমিটার রাম্তার অবস্থা খুবই বেহাল। যানজট লেগেই থাকে। রাস্তার ভাঙ্গন স্থানে হাঁটু পরিমাণ কাঁদা জমাট থাকায় পাবলিক পরিবহন অটোরিকশা, ভ্যান ও গার্মেন্টসের মালামাল বহনকারী ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। যাত্রী ও পথচারী আহত হওয়ার ঘটনাও নজিরবিহীন। বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে লাগাতার সংবাদ পরিবেশ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক যেন কোন ভাবেই নড়ছে না।

সাধারণ জনগণ বলছে, জনপ্রতিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের দায়হীনতার কারণেই দীর্ঘ কয়েকবছর যাবত এ রাস্তাটি অবহেলিত। তারা বলেন, গাজীপুর মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যাতায়াত করা এখন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী সড়কটির সংস্কারের দাবিতে জনপ্রতিধিদের দারস্থ হয়েও কোন লাভ হচ্ছে। তারা শুধু স্থানীয়দের আশার বাণীই শুনিয়ে আসছেন। বাস্তবিক ভাবে সংস্কারের কোন প্রকার প্রক্রিয়া দেখা যায়নি। রাস্তা ভাঙ্গনের কারণে যানটনের কোন কমতি থাকেনা এ সড়কে। পনেরো-বিশ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে দুই থেকে তিন ঘন্টার অধিক সময় লেগে যায়। এ সড়কে যানবাহন উল্টে আহত হওয়ার ঘটনা এখন প্রতিদিনকার বিষয়।

নুরুল হক নামের একজন বলেন, “কি কমুরে ভাই এ রাস্তার কথা! এ সড়কে চলাচল করার কথা মনে হলেই শরীর শিউরে উঠে। রাস্তার যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে এলাকায় কোন জনপ্রতিনিধি নেই। আমাকে পেশাগত কারণে নিয়মিত এ সড়কে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তার এমনই অবস্থা, কোন আত্মীয়-স্বজনও আমার এখানে বেড়াতে আসে না।”

অবহেলিত সড়কের সংস্কারের কথা জানান গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন মোল্লা। তিনি জানান, এ সড়কটি টেন্ডারে যাচ্ছে, ডিসি অফিস থেকে টেন্ডারের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একোয়ার করে ৭০ ফুট প্রশস্ত করা হবে এ সড়কটি। ডিসি অফিসে আফটার অল ফান্ড জমা দিয়েছি আমরা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *