মামলার বিবরনে জানা যায়, মামলার বাদী মোসলেমার ১৫-১৬ বছর পুর্বে নুনখাওয়া ইউনিয়নের ব্যাপারীর চর গ্রামের ছমির জালাল (৪০) এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই লম্পট চাচা শ্বশুর রোস্তম আলী(৬০) তাকে বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাবসহ যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে আসছিল। বিষয়টি মোসলেমা তার স্বামী ও শ্বাশুরী ছকিলা বেগমকে জানান। এ নিয়ে ছমির জালালের সঙ্গে রোস্তাম আলীর ঝগড়া বিবাদ হয়। ওই ঘটনার কিছুদিন পর ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোসলেমার স্বামী ছমির জালার পাশ্ববর্তী ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে মোসলেমা তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। ফাঁকা বাড়ী পেয়ে লম্পট চাচা শ্বশুর আরো বেপরোয়া হয় এবং গত ৭ জানুয়ারী সকালে ফোনে মোসলেমাকে আবারও তার প্রস্তাবে রাজি হতে বলে। তা না হলে বাড়ীতে থাকতে দিবে না এবং তার কথা প্রকাশ করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মোসলেমা কৌশলে ওই কথোপকথনটি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। এ অবস্থায় সে স্বামীর বাড়ীতে টিকতে না পেরে ভয়ে তিনটি সন্তানসহ বাবার বাড়ী ভিতরবন্দ এলাকায় চলে আসে। প্রমান হিসেবে মোবাইল ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড থানায় উপস্থাপন করে।
এ ব্যাপারে চাচা শ্বশুর রোস্তম আলী বলেন, আমি অভিযোগের বিষয়টি এখনো জানিনা। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আককাছ আহম্মেদ বলেন, আসামীকে দ্রুত ধরার চেষ্টা চলছে।