গাজীপুর

কোনাবাড়ীর এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ

Published

on

বহুল প্রচারতি ও জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টুয়ন্টেফিোর ডটকমে ১৬ এপ্রিল, ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর ০২:৫৯ ঘটিকায় “ফেনসিডিলসহ আটক তিন জনকে ছেড়ে দিলো পুলিশ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় যা মিথ্যা ও মনগড়া তথ্যে পূর্ণ। সংবাদটি প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোনাবাড়ী থানার এএসআই মন্টু আহম্মেদ।

এএসআই মন্টু আহম্মেদ বলেন, সংবাদে অভিযোগ করা হয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কােনাবাড়ী থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তিন নারী সহ পাঁচজনকে ফেনসিডিলসহ আটক করেন এএসআই মো. মন্টু আহম্মেদ। পরর্বতীতে আটককৃত তিন নারীকে তাদের সাথে জব্দকৃত ফেনসিডিলসহ ছেড়ে দেয় এবং বাকি ২ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন এএসআই মন্টু আহম্মেদ। একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা অত্যন্ত র্স্পশকাতর, অথচ এই অভিযোগটি কে বা কারা করছেনে তা সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিবেদনের কোথাও উল্লখে করা হয় নি। তথাকথিত “প্রত্যক্ষদর্শী ”র বরাত দিয়ে মনগড়াভাবে যে অভিযোগটি করা হয়েছে তার অনুকূলে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেন নি প্রতিবেদক। এটা কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা হতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:৩৫ মিনিটে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কােনাবাড়ী থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় ‘এরা সিএনজি পাম্প’ এর বিপরীত পাশে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীরা নেমে আসার পর সঙ্গীয় র্ফোস সহ এএসআই মন্টু আহম্মেদ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশীপূর্বক আবু হানিফ ও আব্দুল হাকিম নামে দুই মাদককারবারীকে আটক করেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা ৪০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে জব্দকৃত মাদকসহ থানায় নিয়ে আসা হয় এবং একই দিন রাত ৮:৩০ ঘটিকায় এএসআই মো. মন্টু আহম্মেদ বাদী হয়ে আটককৃত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। আসামীদের আটক, মাদকদ্রব্য জব্দ থেকে শুরু করে মামলা দায়ের পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনায় মামলার বাদীর সাথে তার সঙ্গীয় ফোর্স ও সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া অভিযান পরিচালনার আগে থেকেই থানার র্ঊধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে অবগত ছিলেন। বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীদেরকে তল্লাশীকালে উল্লিখিত দুই ব্যক্তির সাথেই মাদক পাওয়া যায় এবং সেই অনুযায়ী তাদের দুজনকেই আটক করা হয়। তৃতীয় কোনো নারী বা পুরুষরে কাছে কোনো মাদক পাওয়া যায় নি বিধায় তাদেরকে অযথা হয়রানি না করে বরং স্বাভাবিক তল্লাশীর পর ছেড়ে দেয়া হয়।

উল্লিখিত সংবাদে প্রতিবেদক ফেনসিডিলসহ ৩ নারীকে আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদেরকে মাদকসহ ছেড়ে দেয়া হয় বলে অত্যন্ত স্পর্শকাতর অভিযোগ তুলেছেন। যা সর্ম্পূণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কি অভিপ্রায়ে তিনি এই বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করেছেন তা জানা নেই। কিন্তু এই মিথ্যা তথ্যের মধ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক মানহানী করেছেন। এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি মানুষরে আস্থাও বিনষ্ট করেছেন উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ জানান এএসআই মন্টু আহম্মেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version