Connecting You with the Truth

কোরবানির পশুর রক্ত আর বৃষ্টির পানিতে একাকার রাজধানী

bldঈদুল আজহার দিন থেকে টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছেন রাজধানীবাসী। বৃষ্টিতে ঢাকার বেশকিছু এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। বিপাকে পড়েছেন পশু কোরবানির স্থান নিয়েও। ফলে বৃষ্টির মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা নিজ বাড়ির সামনের খোলা রাস্তায় পশু কোরবানি দিয়েছেন। অনেকেই আবার ত্রিপল বা পলিথিন টাঙিয়ে পশু জবাই করেছেন। এতে কোরবানির পশুর রক্ত-বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়েছে রাজধানী।

এবার পশু কোরবানির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ছয় শতাধিক এবং দক্ষিণে চার শতাধিক স্থান নির্ধারিত থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় পানি অপসারণের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী।

বৃষ্টির কারণে কাদাপানিতে মাংস নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুলে অনেকে আগের মতোই পশু জবাইসহ আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম সেরেছেন সড়কে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পানি জমে যায় রাজধানীর নিচু এলাকাগুলোয়, যা ভোগান্তি আরও বাড়িয়েছে নগরবাসীর।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বেশকিছু গলিপথে পানি আটকে থাকায় এখানকার অনেক বাসিন্দা সড়কে কোরবানি করেছেন।

এই এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এবং ভবনের গ্যারেজে ‘জায়গা’ না থাকায় সড়কের ওপরই পশু জবাইয়ের কাজ করতে হয়েছে।

হালিম নামে এক কসাই বলেন, ‘কাদা-পানিতে মাংস যাতে নষ্ট না হয় এই কারণে সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। এমনিতেই রাস্তায় কাদা, তার ওপর গরুর নোংরা মিশছে।’

তবে কোরবানি সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ৬৪৮টি স্থানের মধ্যে ২০০টিরও বেশি স্থানে ইমাম ও কসাই উপস্থিত ছিলেন।

কোরবানির পর এসব স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে পলিথিন ও ব্লিচিং পাউডারও সরবরাহ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য গতকাল ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এসময় মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ, সংসদ সদস্যগণ, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এখানে নামাজ আদায় করেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান এ জামাতে ইমামতি করেন। নামাজে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মুসল্লিদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জাতীয় ঈদগাহের এ ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদগাহ এলাকা ঘিরে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে আসার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন তাকে স্বাগত জানান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এ প্রধান জামাতে মহিলা ও বিদেশি কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। মুসল্লিদের জন্য খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেটেরও ব্যবস্থা ছিল। বিডিপি/আমিরুল

Comments
Loading...