ক্রমেই বিদায় নিচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা: হাছান
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির অনেক নেতা গোপনে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের প্রচার স¤পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেকেই বিএনপি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল এক আলোচনা সভায় হাছান বলেন, “বিএনপিতে বিদায়ের সানাই বাজছে। ইতোমধ্যে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের লেখা বইতে সেই সানাইয়ের সুর পাওয়া গেছে। “ইদানিং রাতের অন্ধকারে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিএনপির অনেক নেতাই সেই সুরে সানাই বাজানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।” ২০ দলীয় জোটে ভাঙ্গন ধরিয়ে নতুন জোট এনডিএফের আÍপ্রকাশের প্রেক্ষিতেই হাছান মাহমুদের এমন মন্তব্য এলো। বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “পত্রিকায় দেখলাম, ২০ দলীয় জোটের মধ্যে সাতটিরই হদিস নেই। বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যদশা এমন চরম পর্যায়ে গিয়েছে, যেসব দল চলে গেছে, সেগুলোর কিছু নেতাকে ধরে এনে একই নামে নতুন দল তৈরি করে জোটে অন্তর্ভূক্ত করছে, যাতে অন্তত বিশ দল নামটি ধরে রাখা যায়।” বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে আসা এনপিপি নেতা শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ১০টি দল নিয়ে গঠিত নতুন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে পাঁচটি দলের একাংশ আবার ২০ দলীয় জোটের সঙ্গেও রয়েছে। ২০ দলীয় জোট এবং দলের নাজুক পরিস্থিতি বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার মনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে রেডি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যার দুই পুত্র ফেরারি আসামি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার দল থেকে লোকজন বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, জোটসঙ্গীরা বেরিয়ে যাচ্ছে তার মুখে এইসব কথা শোভা পায় না। “আপনি যখন এসব কথা বলেন, তখন আপনার মধ্যে পলায়ন মনোবৃত্তি, ভয়ভীতি লক্ষ্য করা যায়।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গত মঙ্গলবার এক জনসভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের ভয় পান না জানিয়ে ক্ষমতাসীনদের পালানোর পথ তৈরি রাখার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আমি কখনোই গ্রেপ্তারে ভয় পাই না। আমি সরকারকে বলব, আমাকে বন্দি করার আগে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখুন। নইলে জনগণ এমনভাবে রাস্তায় সমবেত হবে, আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।” এ প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের হাছান মাহমুদ বলেন, “খালেদা জিয়ার মনে স্বস্তি নেই। অবশ্য স্বস্তি আসবে কীভাবে? যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হরতালের ঘোষণা দিয়ে মাথায় হেলমেট পরে পালিয়ে বেড়ায়, সেই দলের নেত্রীর মনে হতাশা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।” ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজউদ্দিন মিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।