Connect with us

জাতীয়

গণমাধ্যমের জন্য অভিন্ন নীতিমালা-আইন দাবি

Avatar photo

Published

on

25_Discussion_national-broadcasting-policy_CIRDAP_240814_0003স্টাফ রিপোর্টার:
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় গণমাধ্যমের জন্য সমন্বিত নীতিমালা ও আইনের দাবি উঠে এসেছে; আলাদা নীতিমালা পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। রোববার ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪: উদ্বেগ ও করণীয়’ শিরোনামে এই গোলটেবিলের আয়োজন করে ‘আর্টিকেল ১৯’। অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার বলেন, “২০১৪ সালে যখন আমরা একটি সম্প্রচার নীতিমালার কথা বলছি, তখন প্রযুক্তি আমাদেরকে ভিন্ন একটি জায়গায় নিয়ে এসেছে। এই সময়ে আমরা মিডিয়া বলতে সামগ্রিকভাবে যাকে বুঝি, তার জন্য একটি নীতিমালার কথা বলছি কি-না? “আলাদা নীতিমালা কেন? তার মানে কাগজে কাউকে আমি গালি দিতে পারবো। কিন্তু অনলাইনে পারবো না? “এজন্যই আমাদের উচিত, একটি জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করা। পরে সেই আলোকে বাকি কাজগুলো করা।” তিনি বলেন, “কাগজের পত্রিকার জন্য ওয়েজ বোর্ড আছে। টিভি সাংবাদিকের জন্য নাই কেন? ভবিষ্যতে অনলাইন সাংবাদিকতা যারা করবে, তাদের জন্য কেন থাকবে না? কাগজের পত্রিকার জন্য যদি প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট থাকে, তাহলে টিভির জন্য সম্প্রচার আইন খুঁজে বেড়াচ্ছি কেন?”
গণমাধ্যম কমিশন হওয়া উচিত প্রশ্নে মোস্তফা জব্বার বলেন, “আমি মনে করি, সামগ্রিকভাবে মিডিয়ার জন্য একটি কমন প্লাটফর্ম দরকার। তাই সম্প্রচার কমিশন নয়, গণমাধ্যম কমিশন হওয়া উচিত। এটা করা হলে কমিশনের কাছে কাগজ-টিভি সবার বিষয়ে যেতে পারবো। “একটি নীতিমালা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। অনলাইনের আরেকটি নীতিমালার খসড়া মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে।” সম্প্রচার ও অনলাইন উভয় নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন কমিটির এই সদস্য বলেন, “আমাকে যখন বলা হলো, কমিটি অনলাইন নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করবে। আমি বললাম, আমার কাজ সহজ হবে। “কিভাবে? সম্প্রচার নীতি থেকে অর্ধেক দেয়া যাবে। “তার মানে অনলাইন নীতিমালা করতে গেলে গেলে আমাকে ভাবতে হচ্ছে, সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে। অনলাইনে সেই বিষয়গুলোর ৯৫ ভাগ প্রতিফলন করতে হবে। প্রযুক্তিগত পার্থক্য ছাড়া খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পাইনি।”
মোস্তফা জব্বার বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা কি আইসিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা বলেছি? এই আইনে কি পরিমাণ কণ্ঠরোধ করা হয়েছে, সেটা সম্পর্কে কি আমরা সচেতন? “আমরা কি আদৌ ৭৩ সালের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্ট আছে, সেটা সম্পর্কে কোনো কথা বলেছি? সেই আইন যে আমার গলা টিপে ধরে রেখেছে, সেই আইন সম্পর্কে বলিনি। “আমি কি বিশেষ ক্ষমতা আইন সম্পর্কে কথা বলেছি? সেই আইনতো আমার মাথাসহ উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কথা বলিনি। সম্প্রচার নীতিমালা সামনে এসেছে সে কারণে কিছু ভাসা ভাসা সংজ্ঞাগত আলোচনা করেছি।” মোস্তফা জব্বার বলেন, “গণমাধ্যমের জন্য ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে একটি নীতিমালা, একটি কমিশন, একটি আইন করতে পারি। একইসঙ্গে আমি মনে করি, গণমাধ্যম আইন করে প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অ্যাক্টটা বাতিল করে দেন। “একইসঙ্গে আমি মনে করি, লাইসেন্সের পলিসি যদি করেন, অবশ্যই ব্রডকাস্টের মাধ্যমের জন্য বিটিআরসির তরঙ্গ বরাদ্দে আলাদা ব্যবস্থা থাকতে পারে। ব্লগে কি লেখা হবে, সেটা আমি নিয়ন্ত্রণ করবো কি-না, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি।”
মোস্তফা জব্বরের বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, “গণমাধ্যম নীতিমালার দাবিটি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন থেকে আমরা বলেছি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- আমরা এটা চাই। এর সঙ্গে আমরা একমত।” তিনি বলেন, “সম্প্রচার নীতিমালাসহ আলাদা আলাদা নীতিমালা কনফ্লিক্টিং হবে। অনলাইন নীতিমালার খসড়া পড়ে আছে। আরো দুটি ড্রাফট পড়ে আছে। একটি হলো ১৯৭৪’র নিউজ পেপার সার্ভিসেস অ্যাক্ট যেটাতে কেবল সংবাদপত্রের কর্মচারীদের বিষয় ছিল। সেখানে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে ঢুকানো হয়েছে। “আপনারা বলছেন, সম্প্রচার কমিশনে কমপ্লেইন করবেন। তথ্য মন্ত্রণালয় কিন্তু আবার প্রেস কাউন্সিলে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অভিযোগ নেওয়ার জন্য আরেকটা খসড়া নিয়ে বসে আছে। কাজেই কোনটার সঙ্গে কোনটা মিলবে। একটি গণমাধ্যম নীতিমালা হলে সেটাই হওয়া উচিত।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান অনুষ্ঠানে নিজের ফোনটি দেখিয়ে বলেন, এই এক মোবাইলে এখন টিভি দেখতে পারেন। অনলাইন দেখতে পারেন, পত্রিকা পড়তে পারেন। “এছাড়া ভবিষ্যতের কোনো নতুন ধরণের মাধ্যমও এখানে যুক্ত হতে পারে। এ সব মিলিয়ে কেন নীতিমালা হচ্ছে না? এখন একটি সমন্বিত নীতিমালা করা দরকার। “বিজ্ঞাপন নিয়ে শ্লীল-অশ্লীল নানা কথা বলা হয়েছে। অভিনয়ও একটা শিল্প, এটা নিয়েও কথা বলা যায়। যাত্রা-নাটক আলাদা একটা যোগাযোগ মাধ্যম, কিন্তু সেটা আবার উঠে আসছে টিভিতে। অনলাইনেও নানা ধরণের জিনিস আসছে। “এর বাইরে রয়েছে, বিদেশি চ্যানেল। যেগুলো আমাদের সংস্কৃতিকে গ্রাস করে ফেলেছে। কিন্তু তাই বলে আমরা দরজা জানালা বন্ধ করে থাকতে পারবো না। একটার মধ্যে কি এগুলোও পড়বে না? সবগুলোকে কি এখানে নিয়ে আসবো না?” তিনি বলেন, আলাদা আলাদা নীতিমালা ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে আসে। পরিকল্পনা সমন্বিত জায়গা থেকে করতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে করতে হবে। চাপিয়ে দেয়া নীতিমালা চলতে পারে না। আর্টিকেল ১৯’র বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমানের সঞ্চালনায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, ব্লাস্টের অনারারি নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ম্যাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক কামরুল আহসান মঞ্জু, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আলোচনায় অংশ নেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

কর্মচারী ‘নয়ন সিন্ডিকেটের’ দাপটে তটস্থ রমেক হাসপাতাল

Avatar photo

Published

on

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রকেম) হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের হয়রানি নতুন কিছু নয়। বিষয়টি সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী, রোগীর স্বজন, চাকুরি প্রত্যাশীদের হয়রানি, কথায় কথায় হাসপাতালের নিরীহ কর্মচারীদের নানাভাবে হয়রানি, হাসপাতাল প্রশাসনকে দাপটের সাথে দাবিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ‘নয়ন সিন্ডিকেট’র বিরুদ্ধে।

জানা যায়, নয়ন সিন্ডিকেটের প্রধান নয়ন হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত হলেও ‘কর্মচারি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড’ এর সাধারণ সম্পাদক এর পদ ব্যবহার করে সব পর্যায়ের কর্মকাণ্ডকে জিম্মি করে রেখেছে। তার বিস্তর অপরাধের কাহিনী এখন ভুক্তভোগীসহ চিকিৎসাসেবীদেরও মুখে মুখে। এদের দৌরাত্মের নিকট অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন স্বয়ং হাসপাতালের বিদায়ী পরিচালক ডা. শরিফুল হাসানও। এক সাক্ষাতকারে এই নয়ন সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সূত্র জানায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার প্রতিটি ওয়ার্ডে বহিরাগত লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছে ওষুধের দালালিসহ সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধ ও সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি চুরি করার মোটা কমিশন হাতিয়ে নেয় নয়ন সিন্ডিকেট। এমন কি নয়নের সিন্ডিকেটের সদস্যরা হাসপাতালের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বহিরাগত মাদকসেবীদের দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডিউটি করান। যেসব মাদকসেবীদের দিয়ে অবৈধভাবে ডিউটি করান দিন শেষে তাদের হাজিরা না দিয়ে উল্টো তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় সারাদিনের কু-কর্মের ভাগ বাটোয়ারার হিস্যা।

সেবাগ্রহীতা, স্বজন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নয়ন ও তার গ্রুপের লোকেরা একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজদের সামান্য বিষয় নিয়ে লাঞ্ছিত, রোগী ও চিকিৎসাসেবীদের সাথে দুর্ব্যবহার, ওষুধ-সরঞ্জামাদি চুরি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। এছাড়ও হাসপাতাল প্রশাসনকে দাপটের সাথে দাবিয়ে রাখাসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা নয়ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংঘঠিত হয় না। বরখাস্ত হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালের কর্মচারি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এর খুঁটির নামে হাসপাতালের সব পর্যায়ের কর্মকাণ্ডকে জিম্মি করে রাখছে তার সিন্ডিকেট। প্রতিনিয়ত এই সিন্ডিকেটের নানামুখি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অসহায় ও উদ্বিগ্ন রমেক কর্তৃপক্ষও। এদের হয়রানি ও অত্যাচারের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না বলেও জানান অনেক ভুক্তভোগী।

আরও জানা যায়, নয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি। হাসপাতালেও অভ্যন্তরে হত্যা, হত্যার উদ্দেশে মারপিট, গুরুত্বর জখম, চুরি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা ও হুকুমদাতার অপরাধে আসামী নয়নের বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিনের কোতয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও নানাবিধ ন্যাক্কারজনক অপরাধ অব্যাহতভাবে সংঘটিত করে আসছে এরা। নয়ন সিন্ডিকেটের এমন অপকর্ম রোধে দক্ষ প্রশাসনিক দায়িত্বের কোনো পরিচালক রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে বেশিদিন টিকতে পারেন না বলে একটি কথা এখন কর্মচারীদের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি বদলি হওয়া রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান সরকারের নির্দেশে হাসপাতালে আউর্সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিছুসংখ্যক জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন। বিদায়ী ওই পরিচালককে সেই নিয়োগ নয়ন সিন্ডিকেট মনোনীত ঠিকাদারকে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন যা বিধিবহির্ভূত হওয়ায় হাসপাতাল প্রশাসন তা মানেন নি। পরে তাদের মনগড়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জনবল নিয়োগ বানিজ্যের সুযোগ করে না দেয়ায় সেই সূত্রপাত ধরে তৎকালীন পরিচালকের বিষয়ে নানা মিথ্যা অপবাদ তুলে অযৌক্তিক আন্দোলনের ধোয়া তুললে পরিচালক বদলি হন।

কথা বলতে চাইলে বিদায়ী পরিচালক ডা. শরিফুল হাসান টেলিফোনে জানান, ‘যুদ্ধে আমি পরাজিত সৈনিক। অনেক চেষ্টা করেও রমেক হাসপাতালের দীর্ঘদিন থেকে গড়ে ওঠা দুর্নীতিবাজ অপশক্তি নয়ন সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছি। যতদিন এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে হাপাতালকে মুক্ত করা না হবে, ততোদিন উত্তরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্ছিত হতেই থাকবে।’

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে বরাদ্দ ছাড়াই সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নয়ন একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়ে কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ রমেক ক্যাম্পাসের ১০নং কোয়ার্টারে থাকেন কিভাবে? এছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) সহ গৃহস্থালি নানা রকম ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সরকারি বিদ্যুৎ অপচয় করছেন নির্বিঘ্নে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের মধ্যেও কানাঘোষা চলছে কিছুদিন ধরে।
এ বিষয়ে রমেক হাপাতালের কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নয়ন এর সাক্ষাতকার নিতে চাইলেও তাদের দেখা মেলেনি। পরে টেলিফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে অসুস্থতার কথা বলে ফোন কেটে দেন নয়ন। কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি শাহিনের সাথে রোববার (২৮ মে’ ২৩) তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।

হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে জিইয়ে রাখা অযুত সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সময় ও সবার সহযোগিতা পেলে হাসপাতালের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী। তবে সংঘবদ্ধ নয়ন সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বলেন, আমি সদ্য যোগ দিয়েছি। এখনও ভালো করে বুঝে উঠতে পারিনি। যথাযথ অভিযোগ পেলে দায়িদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Continue Reading

Highlights

শেরপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

Avatar photo

Published

on

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী কর্তৃক আদালতে দায়ের করা যৌতুক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। ২৭ মে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার পোড়ার দোকান‘থই থই কফি পার্ক’ এ ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে জানায়, আমি একজন নিরিহ ও সহজ সরল মানুষ। জনগন আমাকে উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম হজব্রত পালনের জন্য সৌদি যাবার প্রাক্কালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য গত ১৫ মে সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা এবং আমার মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মাত্র ৩ ভোট পেয়ে আমার সাথে পরাজিত হয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনই আমাকে এবং উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং আমাকে নানা ভাবে হয়রানী করার হুমকি দেন।

এসময় শাপলা আমাকে হুমকি দিয়ে জানায়, আমি একজন সাংবাদিক নেতাও, তাই আমাকে পরাজিত করার ফল পেতে হবে। এর পর ওই ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক শাপলা আমার পেছনে লেগে আছে। আমার স্ত্রী তানজিলা আক্তারের সাথে কিছু দিন যাবৎ বনিবনা হচ্ছিলো না। সেই সুযোগে ভাইস চেয়ারম্যান শাপলা আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে আমার বিরুদ্ধে ২৪ মে আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। এরপর শাপলা আমার স্ত্রীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের দিয়ে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করেন। সমাজে এতে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা নিজে একাধারে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও এমপিও ভুক্ত একটি মাদরাসার শিক্ষক হয়ে সকল স্থান থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে অনিয়ম ও দুর্নিতির আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া তিনি জামায়াত পরিবারের সদস্য হয়ে আওয়ামীলীগে নাম লিখিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে। তার মরহুম পিতা সুরুজ্জামান একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার ছিলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, এযাবৎ কালে আমার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ কার্মকান্ড ও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। স্থানীয় জনগনের সর্বদা পাশে থাকার কারণে এলাকায় আমি গরিবের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছি। অতএব আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা সত্য প্রমান করতে পারবে না। আমার স্ত্রী একজন অর্থলোভি এবং ব্লেকমেইলার। সে আমাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল করার চেষ্টা করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করেছে। তাই আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যে সংবাদের প্রতিবাদ জানাই।

অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শাবিহা জামান শাপলা সাংবাদিকদের জানায়, আমি ভাইস চেয়ারম্যান মিজানের স্ত্রীর বিষয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার শালিস-দরবার করেছি। সেকারণে তিনি ন্যায় বিচারের জন্য তার ¯^ামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রতিকার চেয়ে। সেজন্য আমি নারী নেত্রী হিসেবে তাকে সহযোগীতা করেছি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অসত্য, ভিত্তহীন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের স্ত্রী তানজিনা আক্তার জানায়, আমি কারো প্ররোচনায় মামলা করিনি। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগও মিথ্যে। ছবি সংযুক্ত

Continue Reading

জাতীয়

নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহ্বান সাংসদ সেলিমা আহমাদের

Avatar photo

Published

on

মোঃ প্রিন্স:
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন কুমিল্লা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ। তিনি শনিবার ২নং ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান।

তিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সেলিমা আহমাদ আরও জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন। যে স্মার্ট বাংলাদেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে সবকিছু হবে। সেখানে নাগরিকেরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তরুণ প্রজন্মের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন তিনি।

জনাকীর্ণ এই আলোচনা সভায় উপস্তিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মোঃ নজরুল ইসলাম ( সিনিয়র সহ-সভাপতি, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মেয়র, হোমনা পৌরসভা, কুমিল্লা), মোঃ মফিজুল ইসলাম (গনি) ( চেয়ারম্যান, ২নং ঘাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ), মহিউদ্দিন খন্দকার (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), গাজী মোঃ ইলিয়াছ (সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা), মোঃ মহাসিন সরকার ( ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, হোমনা, কুমিল্লা), মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মোছলেম)(যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), খন্দকার হান্নান মিয়া (সাংগঠনিক সম্পাদক, হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগ), নাছিমা আক্তার (রীনা) (মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, হোমনা, কুমিল্লা), মোঃ শাহনুর আহমেদ (সুমন) (সভাপতি, হোমনা পৌর আওয়ামী লীগ), মোঃ জসিম উদ্দিন সওদাগর (চেয়ারম্যান, ৩নং দুলালপুর ইউপি), মোঃ জালাল উদ্দিন (চেয়ারম্যান, ৬নং নিলখী ইউপি), মোঃ ছাদেক সরকার (চেয়ারম্যান, ৭নং ভাষানিয়া ইউপি), মোঃ তাইজুল ইসলাম মোল্লা (চেয়ারম্যান, ১নং জয়পুর ইউপি), মোজাম্মেল হক (চেয়ারম্যান, ৪নং চান্দেরচর ইউপি), মোঃ শিব্বির আহম্মেদ(প্যানেল চেয়ারম্যান, ৫নং আছাদপুর ইউপি)।

Continue Reading