Connecting You with the Truth

৩০০ রোগ সারবে গমের ঘাস খেলে

fresh-wheatgrassফিচার ডেস্ক: অর্থাত্ ‘তোমার খাদ্যই হোক তোমার ওষুধ’। কথাটি বলেছিলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক হিপোক্র্যাটস। খাদ্যগুণে রোগমুক্তির ধারণা বহু প্রাচীন। প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে শাক-সবজির জুড়ি নেই। সেরকমই একটি সবজির সঙ্গে পরিচয় করা যাক, যা খেলে ৩০০-রও বেশি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজেই। কোনও ওষুধ খাওয়ারই দরকার নেই। বছরভর নিরোগ। সবজিটির নাম গমের ঘাস। খেয়েছেন? গোরু নয়। মানুষেরই খাদ্য।

যাঁরা এই মহৌষধের সঙ্গে পরিচিত, তাঁদের নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে যাঁরা পরিচিত নন, আসুন পরিচয় করা যাক গমের ঘাসের সঙ্গে। ক্লোরোফিল, অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেলস, ভিটামিন ও এনজাইমে ভরপুর এই ঘাস রোজ সেবন করতে পারলে শরীরে কোনও রকম বিষ বাসা বাঁধে না। ক্যানসার, অ্যাস্থমা, বিনিদ্রা,

কী কী অসুখ সারে?

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: প্রতিদিন গমের ঘাস খেলে রক্তে লাল কণিকার সংখ্যা বাড়তে থাকে। রক্তকে শুদ্ধ করে দেয়। রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখে, ফলে ব্লাড প্রেসার থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ডিটক্সিফিকেশন: বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে অচিরেই বিষ বা দূষিত পদার্থগুলি বাসা বাঁধে। যা ডেকে আনে, স্থুলতা, মানসিক চাপ, গ্যাসের সমস্যা, ডায়াবেটিস-সহ নানা বিধ রোগ। গমের ঘাস রক্ত-সহ শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াকে দূষিত হতে দেয় না। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেপটিক আলসার, ডায়েরিয়া, টিউমার বাসা বাঁধতে দেয় না।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন নিয়ম করে গমের ঘাস খেতে পারলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় এনার্জি লেভেলও। এক কথায়, প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার।

যৌন ক্ষমতা বাড়ায়: কোনও ক্ষতিকর ওষুধের দরকার নেই, গমের ঘাস খেতে পারলে। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গমের ঘাসের জুড়ি নেই।

অ্যান্টিসেপটিক: গমের ঘাস খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক-ও। কেটে গেলে বা ফোঁড়া হলে গমের ঘাস অসাধারণ কাজ করে। ক্ষতে সংক্রমণ হতে দেয় না। দ্রুত সারিয়ে তোলে।

কী ভাবে খাবেন? গমের ঘাস বেটে খাওয়া যেতে পারে। অথবা ঘাস থেকে রস নিংড়ে একগ্লাস খেলেও হবে।

Comments
Loading...