Connecting You with the Truth

গোয়েন্দা নজরদারিতে বিলাসবহুল গাড়ি

car pcস্টাফ রিপোর্টার:
মাদক বহনে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে দাবি করে এসব গাড়ি গোয়েন্দা নজরদারিতে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। গতকাল দুপুর ১২ টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, সমাজের উচ্চবিত্তরা সাধারণত বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। সে কারণে পুলিশ এসব গাড়ি তল্লাশি করেন না। আর এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে মাদক বহন করছেন। এরপর থেকে এ ধরনের বিলাসবহুল গাড়িগুলো নজরদারিতে নিয়ে আসতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে ম্যাসেজ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলাগাওঁ খিদমাহ হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ হাজার ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির সরঞ্জামাদি ও মাদক বহনকারী একটি বিলাসবহুল পাজেরো গাড়িসহ চারজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় মুরাদ নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আব্দুল্লাহ জুবায়ের (২৮), আইযুব আলী (৪৫), শামসুল আলম (২৪), মোস্তাকিন হোসন ওরফে সানি (৩২)। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, এ চক্রটি প্রতি মাসে টেকনাফ থেকে তিন থেকে চারটি ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে আসে। আর প্রতিটি চালানে প্রায় ৫০ হাজার করে ইয়াবা থাকে। জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা মায়ানমার থেকে ইয়াবা তৈরির একটি মেশিন নিয়ে এসেছে। কাঁচামাল সংগ্রহ করে ঢাকা বসেই ইয়াবা তৈরি করার চেষ্টা করে আসছিল তারা। তিনি জানান, চক্রের প্রধান আব্দুল্লাহ জুবায়ের বাড়ি কক্সবাজার সদরে। তিনি ভারতের দার্জিলিং থেকে এসএসসি পাশ করে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসা করে রাজধানীর নিকেতনে একই ভবনে দুটি ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এছাড়াও কক্সবাজারে তার বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে খিলাগাওঁ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের ওই উপ-পুলিশ কমিশনার।

Comments
Loading...