Connecting You with the Truth

ঘোড়াঘাটে কৃষক ‘‘মাঠ দিবস-২০১৬’’ অনুষ্ঠিত

Ghoraghat News  29.01

শাহ্ আলম মন্ডল, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কাশিয়াতলা (শীতল) গ্রামে ২৯ জানুয়ারী, শুক্রবার বেলা ৪টায় ‘ফসল নিবিড়তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণে চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস উদ্ভাবন’ শীর্ষক মাঠ দিবস- ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি, রাজবাড়ি, দিনাজপুর এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
এ কর্মসূচীর পরিচালক ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, গাজিপুর- এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর আ,সা,ম মাহবুবুর রহমান খাঁন এর সভাপতিত্বে এবং দিনাজপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালক ডক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর গম গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ডক্টর মোহাম্মদ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জুলফিকার হায়দার, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, জয়দেবপুর, গাজিপুর- এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ আক্কাস আলী, বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট সদস্য আলহাজ¦ মোঃ খলিলুর রহমান মন্ডল এবং দিনাজপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ মাহফুজ বাজ্জাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন ফসল বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যহত রাখতে হলে কোন আবাদি জমি ফেলে রাখা যাবেনা। দেশের কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস ঘটাতে হবে।” অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় কয়েকজন কৃষক প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন।
কাশিয়াতলা (শীতল) গ্রামের কৃষক আবু হোসাইন মোঃ আলী মাসুম এর জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ৩ একর ২৫ শতক জমিতে ২ ফসল রোপা আউশ এবং আমন ধান তোলার পরে এখন তিনি মজুরদের নিয়ে রবি শষ্য সরিষা ও আলু তুলছে। কয়েকদিনের মধ্যে চতুর্থ ফসল হিসেবে বোরো ধান রোপন করবেন। অথচ তার জমির আশেপাশে আবাদি জমিগুলো আমন ধান তোলার পরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
কৃষক আবু হোসাইন মোঃ আলী মাসুম বলেন, “আগে আমার জমিতে বছরে মাত্র দুই বার ধান উৎপাদন করতাম। বাকী সময় জমি ফাঁকা পড়ে থাকতো। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের পরামর্শে এখন বছরে চার ফসল আবাদ করছি। অর্থনৈতিকভাবেও আগের তুলনায় দিগুণ আয় বেড়েছে। আমার দেখাদেখি গ্রামের অন্য কৃষকেরাও এখন বছরে চার ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছে।”
দিনাজপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ মাহফুজ বাজ্জাজ জানান, “দিনাজপুরের এ অঞ্চলের আবাদি জমিগুলোতে চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস উদ্ভাবনের ফসলধারা হচ্ছে- ১. রোপা আউশ ধান (বৈশাখ- আষাঢ়), ২. রোপা আমন ধান (শ্রাবণ- কার্তিক), ৩. রবি শষ্য (কার্তিক- মাঘ) ও ৪. বোরো ধান (মাঘ- বৈশাখ)।

Comments
Loading...