গত-মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি পাশ হয়। সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, ১ দশমিক ৪৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বেড়ে তা ২০১৯ সাল দাড়িয়েছে। পিসি গার্ডার এ সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি। এর মধ্যে ২৮ পিলার থাকবে নদীর ভেতরের অংশে। দুটি থাকবে দুই প্রান্তে সংযোগ সেতুতে। চিলমারী-হরিপুর ২য় তিস্তা সেতু প্রকল্পের ৭’শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মধ্যে ২’শ ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা। চিলমারী-হরিপুর ২য় তিস্তা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল হক জানান, সেতুর উভয় পাশে নদী শাসন হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। এপ্রোচ রোড ৫৭.৩ কিঃমিঃ। এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ধাপের হাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিঃমিঃ।
চিলমারীর অংশে একসেস রোড সেতু থেকে কাশিমবাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিঃমিঃ এবং গাইবান্ধার ধাপের হাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০কিঃমিঃ। এপ্রোচ রোড নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ৯০.৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে চিলমারীতে ২২.৫ হেক্টর এবং গাইবান্ধার ৬৮.৩৪ হেক্টর জমি।
এদিকে সেতু বিভাগের তৈরি চিলমারী-হরিপুর ২য় তিস্তা সেতু বাস্তবায়নের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে, সেতুর কাজ দ্রæত এগিয়ে নিতে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একে এম মাঈদুল ইসলাম বলেন, চিলমারী-হরিপুর ২য় তিস্তা সেতু হলে অর্থনৈতিকভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এবং লালমনিরহাটের সম্পৃক্ততা পরিপূর্ণ হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হবে। এতে সময় বেঁচে যাবে। এর উপকার আসবে অর্থনীতিতে। এ ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাড়বে।
#