Connecting You with the Truth

চুরির ১৪ মাস পর মোটরসাইকেল বুঝে পেলেন সাংবাদিক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:
১৪ মাস পর চুরি হওয়া মোটরসাইকেল বুঝে পেলেন সাপ্তাহিক কমলগঞ্জের কাগজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জুয়েল আহমদ। আদালতের নির্দেশে পুলিশ উদ্ধার হওয়া সাইকেলটি সাংবাদিক জুয়েল-এর জিম্মায় প্রদান করে।
জানা গেছে, গত বছরের ১২ জুলাই নছরতপুর জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যান সাংবাদিক জুয়েল আহমদ। নামাজ শেষে বাহির হয়ে দেখেন তার ব্যবহৃত ফ্যাশন প্লাস মৌলভীবাজার-হ-১১-৫৮২৩ মোটরসাইকেলটি নেই। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন সাংবাদিক জুয়েল। মোটরসাইকেল চুরির প্রায় এক বছরের মাথায় গত ৫ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিয়ে সাংবাদিক জুয়েল কুলাউড়া উপজেলার মিয়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল আমিনের বাড়িতে যান এবং ফ্যাশন প্লাস সাইকেলটি তার চুরি হওয়া সাইকেল হিসাবে সনাক্ত করেন। এ সময় আব্দুল আমিন সাইকেলটির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি কুলাউড়া থানাকে অবহিত করা হয়। পরে কুলাউড়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল আমিনের বসত ঘর থেকে ওই সাইকেলটি উদ্ধার করলেও রহস্যজনক কারণে আব্দুল আমিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী মোটরসাইকেল উদ্ধারের পর এ বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করে আদালতে জব্দ তালিকা পাঠানোর বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা সাইকেল উদ্ধারের ২০ দিন পর আদালতে জব্দ তালিকা প্রেরণ করেন। কুলাউড়া থানার সাধারণ ডায়রি নং-২০৭ মূলে গত ২৫ জুলাই আদালতে প্রেরণকৃত জব্দ তালিকায় বসত ঘরের পরিবর্তে আমিনের বাড়ির সামনের কাচা রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাইকেলটি উদ্ধার দেখানো হয়। সাংবাদিক জুয়েল অভিযোগ করেন, আব্দুল আমিনের বসত ঘর থেকে সাইকেলটি উদ্ধার করা হলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি যথা সময়ে জব্দ তালিকা আদালতেও পাঠানো হয়নি। বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আনলে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে অবশেষে গত ৩১ আগস্ট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান। গত ১ সেপ্টেম্বও এ নিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমল আদালতে শুনানী হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক ৫০ হাজার টাকা বন্ডে মোটরসাইকেলটি জিম্মায় প্রদান-এর আদেশ দিলে বুধবার রাতে কুলাউড়া থানা পুলিশ মোটরসাইকেলটি মালিকের জিম্মায় প্রদান করা হয়।

Comments
Loading...