চুল যেমন চিরুনি তেমন
অন্যান্য ডেস্ক:
প্রাচীনকালে চুলের পরিচ্ছন্নতায় পাথর এবং কচ্ছপের শক্ত খোল, হরিণ ও গবাদি পশুর শিং ও অন্যান্য প্রাণীর হাড়গোড় দিয়ে চিরুনি তৈরির প্রমাণ পেয়েছেন প্রতœতত্ত্ববিদরা। প্রাচীন চীনে কারও মালিকানায় একটি চিরুনি থাকাকে মনে করা হতো আভিজাত্যের প্রমাণ। পরে সুইডেনে টিন, রূপা ও তামা-দস্তার সমন্বয়ে গঠিত একধরনের ধাতু দিয়ে চিরুনি তৈরি করা হতো। উনিশ শতকের শেষ দিকে ইসাইয়াহ ও জন হায়াত নামের দুই ভাই প্রাকৃতিক উপাদানের বদলে কৃত্রিম উপাদান দিয়ে চিরুনি তৈরির উপায় আবিষ্কার করেন। তাদের উদ্ভাবিত সেলুলয়েড চিরুনির ইতিহাস বদলে দেয়। সেলুলয়েড চিরুনিকে করে তোলে সস্তা। বাজারে নাইলন, প্লাস্টিক, কাঠ, হাড় ও কাচের চিরুনি পাওয়া যায়। এসবের মধ্য কাচের চিরুনি ব্যবহার চুলকে দেয় সব চেয়ে বেশি সুরক্ষা। কারণ আঁচড়ানোর সময় চুল থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে চিরুনিতে আসে। কাঁচ বিদ্যুৎ অপরিবাহী হওয়ায় চুল আঁচড়ানোর জন্য প্রথম পছন্দে রাখতে পারেন কাচের চিরুনি। মেঘবরণ চুলের পরিচর্চায় যে চিরুনি ব্যবহার করেন না কেন না কেন খেয়াল রাখবেন তা যেন চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল স্বাভাবিক এবং চুলের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সঠিক চিরুনি নির্বাচন করলে নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি দেখানোর পাশাপাশি চুল ফেটে যাওয়া এবং চুল পরা বন্ধ করবে। স্বাভাবিক চুল যাদের তারা যে কোনো ধরণের চিরুনিই ব্যবহার করতে পারেন। ভালো কোয়ালিটির সফট ব্রাশ এবং মাঝারি দাঁতের চিরুনি চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো। সিল্কি স্ট্রেইট চুল যাদের তারা হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। এই ধরণের চুল একেবারে চেপ্টা হয়ে থাকে। তাই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহারের মাধ্যমে চুলটাকে হালকা ব্যাক ব্রাশ করে একটু ফুলিয়েও নিতে পারবেন। কোঁকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে কখনই হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত না। কারণ এই ধরনের চুলে ব্রাশ ব্যবহার করলে চুলে জট লাগে এবং চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোঁকড়া কিংবা ঢেউ খেলানো চুলে বড় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা উচিত। খুব ভক্সগুর ও পাতলা চুলের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যতেœর। ভক্সগুর ও পাতলা চুল আঁচড়ানো উচিত মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে। খুব ধীরে ধীরে জট ছাড়িয়ে এই ধরনের চুল আঁচড়াতে হয়। না হলে চুল ছিঁড়ে যায় এবং প্রচুর চুল পড়ে যায়।