Connecting You with the Truth

জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তাবনা -মসিহ উর রহমান

mosiur-rahmanজঙ্গিবাদ নির্মূলে হেযবুত তওহীদ গত কয়েক বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় দল মত পথ নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য বারবার আহ্বান করেছেন। হেযবুত তওহীদ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জঙ্গিবাদ নির্মূলে শক্তি প্রয়োগ অপরিহার্য হলেও কেবলমাত্র শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমেই একে নির্মূল করা সম্ভব নয়। কেননা জঙ্গিবাদ কোনো নিছক সন্ত্রাস নয়, এটি একটি আদর্শিক সন্ত্রাস। জঙ্গিবাদ যেহেতু একটি ভ্রান্ত মতাদর্শ (ওফবড়ষড়মু), কাজেই একে একটি সঠিক ও শক্তিশালী মতাদর্শ দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। আর সেই আদর্শ জাতির সামনে তুলে ধরার জন্যই এগিয়ে এসেছে হেযবুত তওহীদ আন্দোলন। আন্দোলনের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম সম্প্রতি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন আলোচনা সভা ও জনসভায় জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন। প্রস্তাবনাগুলো আমরা এখানে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছি এবং সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা বিশ্বাস করি, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
.
প্রস্তাবনা-১: সমস্ত জাতিকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা দিতে হবে
আজকে এটা বাস্তবতা যে আল্লাহর রসুল পৃথিবীতে যে ইসলাম নিয়ে এসেছিলেন তা সহ¯্রাধিক বছরের বিকৃতির নিচে চাপা পড়ে গেছে। প্রকৃত রূপ হারিয়ে তা আজ হাজার হাজার রূপ ধারণ করেছে। ইসলামের প্রকৃত রূপ যদি আজ মানুষের সামনে উন্মুক্ত থাকত তবে ধর্মবিশ্বাসী মানুষকে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করতে পারত না। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের সামনে ইসলামের প্রকৃত রূপটি তুলে ধরতে হবে। যে শিক্ষা পেলে সাধারণ মানুষ ন্যায়-অন্যায় ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্য বুঝবে, ধর্ম কাকে বলে, ইসলাম কী ও কেন, আল্লাহর রসুল কী লক্ষ্যে সংগ্রাম করেছিলেন, মানুষের প্রকৃত ইবাদত কী, কোনটা জেহাদ আর কোনটা সন্ত্রাস প্রভৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখবে, এক কথায় দীন বা ধর্ম সম্পর্কে পরিষ্কার আকিদা (ঈড়সঢ়ৎবযবহংরাব ঈড়হপবঢ়ঃ) ধারণ করবে তখন তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করা সম্ভব হবে না। আর যতদিন প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মানুষকে দেওয়া না হবে, ততদিন তারা বারবার স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা ব্যবহৃত হবে এবং জঙ্গিবাদের ন্যায় বৃহৎ সংকট সৃষ্টি করবে।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন আদর্শিক মোকাবেলার প্রশ্ন ওঠল তখন কেউ বলছেন একে সংস্কৃতি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। কেউ বলছেন গণতন্ত্র দিয়ে, কেউ বলছেন সমাজতন্ত্র দিয়ে, কেউ বলছেন সাম্যবাদ দিয়ে, কেউ বলছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে। আমরা সকলের বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই, জঙ্গিবাদের জন্ম হয়েছে ধর্মবিশ্বাস থেকে। বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলিম আল্লাহকে বিশ্বাস করে। তারা কোরআনে বিশ্বাস করে। আল্লাহ ও তার রসুলকে ভালোবাসে। তাদের এই ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে, মানুষের ঈমানের দোহাই দিয়ে, কোরআনের আয়াত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, আল্লাহর রসুলের জীবনের দুয়েকটি ঘটনাকে খ-িতভাবে উপস্থাপন করে, তাদের জান্নাতের প্রলোভন দেখিয়ে, আল্লাহ ও তার রসুলের সন্তুষ্টির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে, মানবতাবিনাশী কার্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা যেহেতু ধর্ম থেকে উদ্ভুত, সমাধানও ধর্মের মধ্যেই খুঁজতে হবে। আজ যদি আমরা যুব সমাজের কাছে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে পারি, আজ যদি তাদেরকে রসুলের প্রকৃত জীবনাদর্শ তুলে ধরতে পারি, কোরআনের মর্মবাণী তুলে ধরতে পারি, তবেই কেবল ঈমানদার মানুষেরা তাদের ঈমানকে হেফাজত করতে পারবে।
.
প্রস্তাবনা-২: শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন
আজ থেকে প্রায় তিনশ’ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া থেকে আটলান্টিকের তীর পর্যন্ত সমস্ত মুসলিম বেল্ট ইউরোপীয়ানরা দখল করেছিল। এক সময়ের অর্ধপৃথিবীর শাসক মুসলিম জাতি তখন ইউরোপীয়ানদের গোলাম। মুসলিম জাতি যেন আর কোনোদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিরা তখন এক বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নেয়। তারা একটি ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করে। এই শিক্ষাব্যবস্থার একদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা, অন্যদিকে সাধারন শিক্ষাব্যবস্থা (এবহবৎধষ ঊফঁপধঃরড়হ)। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা প্রদান করা হয়নি। বরং সেখানে দীনের অতি তুচ্ছ বিষয়াদির সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম যেসব মাসলা-মাসায়েল নিয়ে আমাদের আলেমরা ইতিপূর্বেই তর্ক-বাহাসে লিপ্ত ছিলেন, সেগুলোকেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হিসেবে সিলেবাসে প্রবেশ করানো হলো। এটা এজন্য করা হলো যেন জাতি প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে চিরকাল পরস্পর বিবাদে লিপ্ত থাকে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় তাদের আরেকটি বড় ষড়যন্ত্র ছিল এই যে, সেখানে আয়-উপার্জন করার মতো কোনো ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া হতো না। উদ্দেশ্য ছিল এই যে, যারা তাদের প্রবর্তিত মাদ্রাসাগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে বেরিয়ে আসবে তারা যেন এই জ্ঞানকে বিক্রি করে খেতে বাধ্য হয়। তাদের এই সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের ফল হয়েছে এই যে, পুরো জাতিই আজ ইংরেজদের হাতে তৈরি ওই বিকৃত ইসলামের দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে গেছে। ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা তাদের সামনে আজ অনুপস্থিত।
.
অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্তায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত লোক বের হচ্ছেন। কিন্তু সেখানে ধর্মের কোনো নাম-গন্ধ নাই। মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য, তাকে নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ শেখানোর জন্য যে ধর্মের জ্ঞান অপরিহার্য সেই ধর্মীয় শিক্ষা সেখানে বলতে গেলে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। সেখানে শিক্ষা হয়ে গেছে এখন অর্থ রোজগারের একটা মাধ্যম। দেশের কৃষক-শ্রমিক-জনতার রক্ত শোষণ করে নিয়ে বিদেশের ব্যাংকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে এই শিক্ষিত লোকেরা। যেখানে শিক্ষিত ব্যক্তিদের হওয়ার কথা অধিকতর দেশপ্রেমিক, সেখানে দেখা যায় যে যত বেশি শিক্ষিত তার দ্বারা জাতি অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
.
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই যে গোড়ায় গলদ অবস্থা, আমার দ্বিতীয় প্রস্তাবনা হচ্ছে এই অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। একজন শিক্ষিত লোক হবেন দেশপ্রেমিক, মানবতাবাদী। তিনি হবেন জাতির কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি জাতির স্বার্থ রক্ষা করবেন। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। ইংরেজদের প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে এই নৈতিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশে একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এই শিক্ষাব্যবস্থায় একদিকে যেমন পার্থিব আয়-রোজগারের বাস্তব শিক্ষা থাকবে, তেমনি আত্মিক উন্নতির যাবতীয় দীক্ষাও থাকতে হবে।
প্রস্তাবনা-৩: সরকারকে ন্যায়ের দ- ধারণ করতে হবে
বলা হয়ে থাকে, ধর্ম যার যার কিন্তু রাষ্ট্র সবার। কিন্তু মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রেরও একটা ধর্ম আছে। রাষ্ট্রের ধর্ম হচ্ছে ন্যায়দ- ধারণ করা। রাষ্ট্র সর্বদা থাকবে ন্যায়ের পক্ষে। রাষ্ট্র যখন ন্যায়ের দ- ধারণ করে, সকল স্বার্থান্বেষণ ও পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে ওঠে নায়বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করে, জনগণ তখন রাষ্ট্রকে নিজেদের আস্থার প্রতীক বলে বিশ্বাস করে। কিন্তু রাষ্ট্রশক্তি যদি দুরাচারী হয়ে ওঠে তখন মানুষও হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ। আর এই বিক্ষুব্ধ জনতাকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে বৃহৎ সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়। এটা মানুষের ইতিহাস। তাই আমার তৃতীয় প্রস্তাবনা হচ্ছে, মানুষকে ন্যায়ের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করার পূর্বশর্ত হিসেবে রাষ্ট্রকে সকল ক্ষেত্রে সকল অঙ্গণে ন্যায়ের উপর দ-ায়মান হতে হবে।
প্রস্তাবনা-৪: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নৈতিক বলে বলীয়ান হতে হবে:
আজকে যারা জঙ্গিবাদী তান্ডব চালাচ্ছে, তারা এগুলো করছে ইসলামের নামে। তারা বিশ্বাস করে তাদের এই কর্মকা- আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের কারণ হবে। তাই এ কাজ করতে গিয়ে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তারা প্রস্তুত থাকে। এমতাবস্থায় এই ভ্রান্ত মতাদর্শীয় সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে হলে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও ঈমানী শক্তি দ্বারা উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জীবন দিচ্ছেন। তাদের সামনে অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করে দিতে হবে যে, তাদের এই আত্মত্যাগ কেবল পেশাগত দায়িত্বের খাতিরে নয়, বরং জাতিকে রক্ষার তাগিদে। যদি তারা সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মোৎসর্গ করেন তবে তাদের এই আত্মত্যাগ তাদেরকে আল্লাহ ও তার রসুলের কাছে সম্মানিত করবে, তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেবে, জঙ্গিবাদীদের কালিমা থেকে ধর্ম ও জাতিকে রক্ষা করা এখন তাদের ঈমানী দায়িত্ব, তখন তারা আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে জঙ্গিবাদীদের মোকাবেলা করতে পারবে। জঙ্গিবাদের মোকাবেলায় এই আত্মিক শক্তি অপরিহার্য। জীবন দিতে প্রস্তুত একদল মানুষকে মোকাবেলা করার জন্য শুধুমাত্র পুলিশের সদস্য সংখ্যা, প্রশিক্ষণ, গোলাবারুদ, আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি বাড়ানোই যথেষ্ট নয়। পুলিশ তথা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে দেশ ও জাতি রক্ষায় প্রকৃত আদর্শে উজ্জীবিত একেকটি উৎসর্গীকৃত প্রাণ। বাহিনীর সদস্যদের সেই আদর্শে উজ্জীবিত করার জন্য আমরা প্রস্তাবনা পেশ করছি।
প্রস্তাবনা-৫: সঠিক আদর্শ প্রচারে গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে:
গণমাধ্যমে একটি জাতির দর্পণস্বরূপ। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে ইসলামের যে প্রকৃত শিক্ষা প্রয়োজন গণমাধ্যমই পারে সেটা সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। এটা দুঃখজনক যে, বর্তমানে মিডিয়ায় বহু গুরুত্বহীন খবরকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয় আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ছোট করে প্রচার করা হয়। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, জাতির সঙ্কট সবসময় সমান থাকে না। কোন একটা রাষ্ট্রে একটা পর্যায় জরুরি অবস্থা (বসবৎমবহপু) জারি করা হয়। আজকে দুনিয়াতে ঐরকম জরুরি অবস্থা চলছে। কাজেই এমতাবস্থায় গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেশি। হেযবুত তওহীদ দেশব্যাপী জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে আদর্শিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে, গণমাধ্যম যদি সেই বিষয়গুলোকে মানুষের সামনে তুলে ধরে তবে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আরো বিশ্বাস করি, বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে ধর্মের এই প্রকৃত শিক্ষাই জাতিকে রক্ষা করতে পারে।
জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমাদের এই প্রস্তাবনাগুলি বিবেচনা করে দেখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান করছি। আমাদের প্রস্তাবনার মধ্যে যদি কোন অসংঙ্গতি থাকে, তবে সঠিক তথ্য ও যুক্তি দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ রইল। বর্তমানে আমরা এমনই সংকটের মুখোমুখি যে, ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা ছাড়া জাতিকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় আমাদের জানা নেই। আমাদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে আজকে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, বিভেদ ও বিভক্তির সব পথ বন্ধ করে সম্মিলিতভাবে জাতির অভিন্ন শত্রুকে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা হেযবুত তওহীদ সম্পূর্ণ জাতিকে সেই আহ্বানই জানিয়ে আসছি।

Comments
Loading...