তৈরি পোশাক খাতের জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে বাংলাদেশ ও আইএলওর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় ‘নাটকো’ নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি তৈরি পোশাক খাতের আনুষঙ্গিক মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জিএসপি পুনর্বহালের জন্য একটি রোডম্যাপ নিয়ে কাজ করতে হবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও এদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে শ্রমিক অধিকার, অগ্নি নিরাপত্তা, শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছে বলে জানান মজীনা। এদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থান নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপালনের সময়ে বাংলাদেশের ৬১টি জেলা ঘুরে দেখার কথা উল্লেখ করে মজীনা বলেন, “বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাকে বিশ্বের পাটের রাজধানী বলে আমার মনে হয়েছে।” “এছাড়া বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরাই পাটের জিন নকশা ও জুটন আবিষ্কার করেছেন। জুটন পৃথিবীর অন্যতম সেরা গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফোর্ড তাদের গাড়ির ইনটেরিয়র ডিজাইনে ব্যবহার করবে। পাটজাত দ্রব্য দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব।” প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়কে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা কয়েক হাজার বাঙালি এ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। উদ্ধোধনী ভাষণের পর নাটকোর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন ড্যান মজিনা। এ সময় তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল আল মামুন ও আদমজী ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মাহাবুব আলী উপস্থিত ছিলেন। সাত বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নির্মাণ করা প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৫০ জনের কর্মসংস্থান হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারগুলো বাস্তবায়ন না করার কথা বলে ২০১৩ সালের জুনের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।