Connecting You with the Truth

জিয়ার মৃত্যু রহস্যে হঠাত্‍ নয়া মোড়!

jiya-khan-2
বিনোদন ডেস্ক:
জিয়া খান মৃত্যু রহস্যে হঠাত্‍ নয়া মোড়। তদন্তের পর সিবিআই জানিয়েছিল, জিয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালের জুনে জিয়ার মৃত্যু রহস্য নিয়ে এক ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থার রিপোর্ট বলছে, জিয়ার আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো। ইংরেজিতে জিয়ার এই আত্মহত্যাকে এই তদন্ত সংস্থা বলছে, ‘hanging was staged’। এই তদন্ত সংস্থাকে মেয়ের মৃত্যু রহস্য জানতে নিয়োগ করে জিয়া খানের মা। সিবিআই তদন্তেও খুশি ছিলেন না জিয়ার মা রাবিয়া খান।
সিবিআই তদন্তে জিয়া খান মৃত্যু নিয়ে যা বলা হয়েছিল এই ব্রিটিশ তদন্ত সংস্থার রিপোর্টে নাকি অনেকটা উল্টো কথা বলা হয়েছে। এমনই জানিয়েছে মুম্বইয়ের এক দৈনিক। গত তিন বছর ধরে রাবিয়া খান বারবার বলে আসছেন, তাঁর মেয়ে জিয়া আত্মহত্যা করেনি, খুন করা হয়েছে।
সরকারি তদন্তে আস্থা না রেখে জিয়ার মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য এই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছিলেন রাবিয়া। সেই সংস্থার বিশেষজ্ঞ জেসন পেইন জেমস দাবি করেছেন, জিয়ার মৃতদেহের মুখে এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। যা প্রমাণ করে, জিয়া আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুনই করা হয়েছিল। জিয়ার মেডিকেল এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পড়া ছাড়াও জিয়ার মৃতদেহের ছবি খতিয়ে দেখেন তিনি। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ এবং মৃত্যুর পরে জিয়ার ঘর যে অবস্থায় ছিল, সেই ছবিও খতিয়ে দেখেন ওই ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ।
এবার এই বিদেশী সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাবিয়া। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ করা কোনও বিদেশী সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত এগোবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। জিয়া খানের মৃত্যুতে সূরজ পাঞ্চোলিকে অভিযুক্ত করায় রাবিয়ার বিরুদ্ধে একশো কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন আদিত্য পাঞ্চোলি।
জিয়ার মৃত্যুতে বারবারই উঠে এসেছে আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির নাম। বয়ফ্রেন্ড সূরজই জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সূরজ। মৃতদেহের পাশে পাওয়া ৬ পাতার সুইসাইড নোটে জিয়া অবশ্য নাম না করে তাঁর প্রেমিককে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের জুহুতে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃতদেহ।

Comments
Loading...