জীবননগরে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা
জীবননগর প্রতিনিধি:
জীবননগর উপজেলার শাখারিয়া মাঝপাড়া গ্রামে এক গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মৃতদেহ রশিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে অবশেষে পুলিশের হাতে বন্দী শাশুড়ী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পরে স্বামী ও শ্বশুর।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার শাঁখারিয়া মাঝপাড়া গ্রামের হামেজ উদ্দীনের ছেলে জান মোহাম্মদ মহেশপুর উপজেলার বাজীপোতা গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা ছন্দার সাথে গত ৪ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ১টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী জান মোহাম্মদের পরিবারের যৌতুকের দাবি করে নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের জন্য পিতা নজরুল ইসলাম কয়েক দফায় বিভিন্ন অংকের টাকা প্রদান করে। কিন্তু তবুও পান থেকে চুন খসলেই স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি গৃহবধূর উপর নির্মমভাবে নির্যাতন করতো। এ অবস্থা কিছুদিন যাবৎ স্বামী করিমন চালক জান মোহাম্মদ স্বচ্ছলভাবে চলতে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। কিন্তু ছন্দার পিতা নজরুল ইসলাম টাকা দিতে আপত্তি করে। এ কারণে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব বিষয় নিয়ে ছন্দার সাথে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গৃহবধূ ছন্দাকে গলা টিপে হত্যা করা হয় এবং তার লাশ রশিতে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী ও শ্বশুর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় তাদের মতিগতি দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশীরা বাসার ভিতর প্রবেশ করে দেখে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ। জীবননগর থানা পুলিশ শুক্রবার রাত ১০ টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে এবং গৃহবধূর শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ সনাক্ত করতে গতকাল সকালে লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠায়।
পুলিশ জানান, এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত আসামি গৃহবধূর শাশুড়িকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।