বিনোদন

জেনে নিন তারকাদের মজাদার শখের ফিরিস্তি?

Published

on


বিনোদন ডেস্ক:
পর্দা কাঁপানো তারকা তারা। কেউ কেউ বিপুল আক্রমণে শত্র“কে বিনাশ করেন। আর কেউ রূপে, অভিব্যক্তিতে মন কাড়েন দর্শকের। এসব তো চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে। কিন্তু বাস্তব জীবনে কেমন তারা? কী তাদের শখ? হলিউড বলিউড তারকাদের মজাদার শখের ফিরিস্তি জানা যাবে আজকের আয়োজনে।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
পর্দায় ‘হট’ ও ‘বোল্ড’ চরিত্রে অভিনয় করা জোলি আর বাস্তব জীবনের জোলির সাথে যেন মিলে গিয়েছে তার শখ। পুরনো ছুরি সংগ্রহ করাই তার শখ। যেখানেই যান, খুঁজে বেড়ান সেখানকার স্থানীয় ছুরি। এমনকি নিলামে এমন ছুরি পেলে চড়া দামে কিনতেও এতটুকু কার্পণ্য করেন না।

জাস্টিন বিবার
যেখানেই গায়ক জাস্টিন বিবারের দেখা মেলে, সঙ্গে একটা রুবিকস কিউব অবশ্যই চোখে পড়বে। ছোট বেলা থেকে এটা জাস্টিনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। বিবার নিজেই বলেন, দিনে কতবার এই রঙ মেলানোর খেলা খেলেন তার হিসেব নিজেরই জানা নেই। স্টপওয়াচ ধরে ধরে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙ্গেন বারবার। ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ডজনখানেক রুবিকস কিউব আছে তার শোবার ঘরে।

টেইলর সুইফট
অনেক ছোট থেকেই শুরু করেছিলেন সঙ্গীত জীবনের পথচলা। জনপ্রিয়তার কাতারে উঠে আসতে কম কষ্ট করতে হয়নি তাকে। সুযোগ বুঝে শৈশবটা যে কবে সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে বুঝতেও পারেননি সুইফট। আজও তিনি খুঁজে ফেরেন তারশৈশবকে। প্রতিবছর বড়দিনে নিজেই তৈরী করে ফেলেন øো-গ্লোব। সেই ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ারও করেন। তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেও এসব ছবি পাওয়া যায়।

জনি ডেপ
তার পছন্দ ‘বার্বি ডল’। এটা তো মেয়েদের পছন্দের খেলনা। ছেলেটা এটা দিয়ে কী করবে? মেয়েদের হলেও এটাই জনি ডেপের শখের জিনিস। তার প্রাসাদের একটি কামরা বার্বি ডলদের জন্যই বরাদ্দ। জনি জানান, ‘আমার দিনের একটি বড় সময় কাটে এই বার্বিদের সঙ্গে। ছোট বেলা থেকেই আমি বার্বির প্রতি বেশ দূর্বল।’

শাহরুখ খান
দেশীয় বাজারে কোনো নতুন গ্যাজেট এসেছ, কেউ কিনুক না কিনুক একজন কিন্তু নিশ্চিত কিনে ফেলেছেন। কে সে? তিনি আর কেউ নন বলিউড কিং খান। তার সংগ্রহে কী কী গ্যাজেট আছে- সে তালিকা না করে সবচেয়ে সহজ হয় কি নেই সেই তালিকা করা। তার বাড়ি ‘মান্নত’-এর একটি পুরো তলাই বরাদ্দ এই গ্যাজেটের জন্য।

দিয়া মির্জা
মৃৎশিল্পী হওয়ার শখও বুঝি কারোও হতে পারে! দিয়া মির্জাকে দেখ তো তাই মনে হয়। ২০১১ সালে ‘আলিবাগ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এতে তাকে মাটির জিনিসপত্র তৈরী শিখতে হয়েছিলো। ছবিটি এখনো মুক্তি না পেলেও সেই থেকে মৃৎশিল্পে প্রেম জাগে তার। তাইতো যোগাড় করে নিয়েছেন একটি চাকা। বাড়িতে সময় পেলেই কিছু না কিছু তৈরী করতে বসে যান তিনি।

নিকোলাস কেজ
নিকোলাস কেজের শখ ডাইনোসরের কঙ্কাল সংগ্রহ করা। বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক একবার যদি শোনেন কঙ্কাল নিলামে উঠেছে- ব্যস হাজির। এমনকি অন্যান্য অভিনেতাদের সঙ্গে নিলামে টক্কর দিতেও পিছু পা হননা। ২০০৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে একবার লিওন্যর্দো ডিক্যাপ্রিওর সঙ্গে নিলামে জিতেছিলেন নিকোলাস। অনেকেই বলেন, লিও মোটেও কিনতো না। শুধু নিকোলাসের পকেট খালি করার ইচ্ছে ছিলো তার।

টম হ্যাঙ্কস
টম হ্যাঙ্কস রসিকতা করে একবার বলেছিলেন, ‘অভিনয় আমার প্রথম প্রেম। আর দ্বিতীয় প্রেম টাইপ রাইটার’। রসিকতা করে বললেও কথাটি কিন্তু সত্য। তার সংগ্রহে আছে প্রায় ২০০টি ভিন্ন ধরনের টাইপ রাইটার। কোনো চিঠি বা চুক্তিপত্র সবকিছুই তিনি নিজের এই রাইটারেই টাইপ করেন। এমন শখকে ঘিরে একটি কৌতুক আছে তাকে নিয়ে, ‘টম হ্যাঙ্কসকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত করবেন কিন্তু তাকে পাচ্ছেন না? একটি টাইপ রাইটার গিফট হিসেবে পাঠিয়ে দিন তার বাড়িতে। দেখবেন ঠিক আপনার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version