জেনে নিন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
অন্যান্য ডেস্ক:
পানি বহন করা বা ফ্রিজে রাখার জন্য আমরা প্রায় সবাই প্লাস্টিকের বোতল বারবার করে ব্যবহার করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এই প্লাস্টিকের বোতল অনেকদিন ধরে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। কারণ এতে তো পানিই রাখা হচ্ছে। তাই বোতলটি ময়লা হবার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু আসলেই কি তাই? যারা ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের বোতল আলাদা করে কিনে নেন তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু আমরা পানি রাখার জন্য মূলত যেসব বোতল ব্যবহার করি সেগুলো একবারের বেশি ব্যবহারের জন্য তৈরি নয়। এসব ডিসপোজেবল বোতল বারবার ব্যবহারের ফলে সহজেই ক্ষয় হয়ে যেতে থাকে। এর প্লাস্টিকের দেয়ালে তৈরি হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফাটল। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ফাটলে বাসা বেঁধে থাকতে পারে ব্যাকটেরিয়া। এসব কারণে ব্যবহারের আগে এদেরকে সাবান এবং হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া দরকার। তবে এগুলো বারবার ব্যবহার না করাটাই আসলে উত্তম কারণ এদের থেকে শরীরে চলে আসতে পারে বিসফেনল এ নামের এক ধরণের রাসায়নিক যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শুধু যে ডিসপোজেবল বোতলই এমন ঝুঁকিপূর্ণ তা নয়। বারবার ব্যবহারের জন্য একটু ভারি, ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের যেসব বোতল আমরা ব্যবহার করি সেগুলোকেও নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে এবং এদের মাঝে দৃশ্যমান ফাটল বা ক্ষয়ের চিহ্ন দেখা গেলে তা ব্যবহার হতে পারে অনিরাপদ। প্লাস্টিকের বোতলে বাসা বাঁধতে খুব ভালোবাসে ব্যাকটেরিয়া। বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চারা যেসব বোতল দিনের পর দিন না ধুয়ে ব্যবহার করতে থাকে, তার মাঝে আশঙ্কাজনক মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন না ধুয়ে রাখার ফলে এসব ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়। ঠিক কি উৎস থেকে এসব বোতলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয় তার ব্যাপারে ঠিক নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে সম্ভবত স্কুলের বাচ্চাদের না ধোয়া হাত থেকে তা ঘটতে পারে। বোতলের গলা এবং যে অংশটি অনেকে মুখে লাগিয়ে খান, সে অংশ থেকে নমুনা নিয়ে দেখা গেছে, তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ এতো বেশি যে তা থেকে ফুড পয়জনিং এর মতো অসুস্থতার সৃষ্টি হতে পারে। তার মানে কি, আপনি পানির বোতল কিনবেন না? বা একবার ব্যবহার করেই ফেলে দেবেন? সেটা একেবারেই বিলাসিতা হয়ে যাবে, আর প্রকৃতিরও ক্ষতি হয়ে যাবে। এর চাইতে কিনুন স্টেইনলেস স্টিলের বোতল। অথবা প্লাস্টিক যদি কিনতেই হয় তবে সাদা প্লাস্টিকের বোতল কেনাটা সুবিধাজনক। এ ধরণের প্লাস্টিকের বোতল ল্যাবরেটরিতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কারণ এ থেকে রাসায়নিক শরীরে আসার সম্ভাবনা কম। তবে যে ধরণের বোতলই কিনুন না কেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখুন।