দেশজুড়ে
ঝিনাইগাতীতে ‘কল্পিত অভিযোগে’ মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Published
2 months agoon

নির্বাচনে সমর্থন না করা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন আক্রোশে অনুসারীদের নিয়ে ‘নাটকীয় মানববন্ধন’ করে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আকরাম হোসেন নামে এক ব্যাক্তি।
শুক্রবার বিকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন মৃত আলী আকবরের ছেলে আকরাম হোসেন।
মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে তার পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং পরিবারের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আকরাম হোসেনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তার ছেলে ফজলুল করিম। তিনি বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি পার্শ্ববর্তী ফুলহারি গ্রামের ইউপি সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন মজনু মিয়া কল্পিত অভিযোগ তুলে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়ে অপপ্রচার করে আসছে। এমনকি পত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। এছাড়াও মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানী করছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের সুনাম, শান্তি ভঙ্গের মারাত্মক কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া মজনু মিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী- গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ভালুকা গ্রামের জনৈক হাবিবর ও হালিমের বাড়ির সম্মুখে মৃত আঃ জলিলের পুত্র মোঃ মজনু মিয়াকে প্রাণ নাশের হুমকি ও রাম দা এবং চাকু নিয়া মারপিট মিথ্যা হুমকির কথা বলে এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে গালাগালি করা, হত্যার হুমকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগেগ আকরাম হোসেনকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। ২নং বিবাদী করা হয় মো. ফজলুল করিম ওরফে ফজল হককে।
মজনু মিয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে আকরাম হোসেন বলেন, ১৩ থেকে ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত তিনি ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমায় ছিলেন। ২নং বিবাদী মোঃ ফজলুল করিম ওরফে ফজল হক ঘটনার পূর্ব থেকেই ঢাকায় অবস্থান করে ব্যবসায় লিপ্ত ছিলেন। ফরহাদ হোসেন ও জিব্রাইলকে ৩/৪ নং বিবাদী করা হয়েছে। মূলত ফরহাদ ও জিব্রাইল মো. মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারিতে বর্ণিত কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়াও মজনু মিয়ার অভিযোগ উল্লেখিত চুরি, ডাকাতি, খুন, রাহাজানি, ছিনতাই এবং মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেওয়ার বিষয়টিও সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভালুকা গ্রামের হালিম মিয়া বলেন, আমার বাড়ির সামনে যে ঘটনার কথা মজনু বলছে সেই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
মজনু মিয়া বলেন, আকরাম আমার সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলা করে আসছে। তাই তার বিরুদ্ধে আমি মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছি।
এদিকে মানববন্ধন ও অভিযোগের বিষয়টিকে ‘গ্রাম্য রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন তার পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও তাদের।
You may like
চট্টগ্রাম বিভাগ
সোনাইমুড়ীতে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত কাঁচামাল বিক্রির টাকাসহ আটক ২

Published
19 hours agoon
মার্চ ২১, ২০২৩
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত সবজি বিক্রির এক লাখ টাকা ও ছিনতাইকৃত ট্রাকসহ চক্রের দুই সদস্য আটক করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার ওয়াহিন উদ্দিন (৩০) ও রুবেল (৪০)।
গতকাল সোমবার সকালের দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন (৪৫) লক্ষীপুরের রামগতি থানা এলাকার বিভিন্ন চাষীদের নিকট হইতে ১০ টন ঢেঁড়শ ক্রয় করে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে বোঝাইকৃত ট্রাকটি নিয়ে সোনাইমুড়ীর বগাদিয়া সাকিনস্থ চেরাং বাড়ীর সামনে পৌঁছলে তাদের পথরোধ করে ছিনতাইকারী চক্রটি। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সবজি বোঝাই ট্রাক, নগদ টাকা, দুটি স্মার্টফোন নিয়ে যায়। এসময় চক্রটি তাদেরকে সিএনজিতে উঠাইয়া অজ্ঞাত স্থানে নিয়া হাত পা বেধে ফেলে চলে যায়।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক জানান, ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ দিলে ট্রাক ও মালামাল উদ্ধারে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে চট্টগ্রাম এর কোতোয়ালী থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগীতায় ০২ জন ডাকাতকে আটক করে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢেঁড়শ বিক্রির এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা এবং ছিনতাইকৃত ট্রাকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক।
চট্টগ্রাম বিভাগ
হেযবুত তওহীদ কর্মীদের মারধর: ক্ষমা চেয়ে আপোষ করলো চরমোনাই অনুসারীরা

Published
1 day agoon
মার্চ ২১, ২০২৩
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে অন্যায়ভাবে হেযবুত তওহীদ কর্মীদেরকে মারধর করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে চরমোনাই অনুসারীরা। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মীমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করে তারা।
রবিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ থানার গোলঘরে একটি শালিস বৈঠকে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চেয়ে আপোষ মীমাংসায় স্বাক্ষর করেন।
হেযবুত তওহীদের কর্মী মোহাম্মদ রাসেল মিঠু ও গোলাম রাব্বানি রাসেল জানান, আমরা মোটর মেকানিক হিসেবে হাজীগঞ্জ বাজারের পাইলট স্কুলের সামনে একটি দোকানে কাজ করি। গত ৯ মার্চ বাদ-মাগরিব চরমোনাই অনুসারী মাদ্রাসার ছাত্র রিফাত, হৃদয়, সিয়ামসহ ১০-১২ জনের একটি দল হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে অহেতুক বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট কথা তুলে ধরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনায় আমরা হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে রবিবার সন্ধ্যায় এসআই মো. আজিজুর রহমান উভয় পক্ষকে ডেকে থানার গোল ঘরে একটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে চরমোনাই অনুসারীরা ক্ষমা চাইলে আমরা আপোষ মীমাংসা হই।
শালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কবির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী মিঠু, কাজী বিল্লাল হোসেন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
হেযবুত তওহীদের চাঁদপুর জেলা সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দীন জানান, আমাদের আন্দোলনটি একটি অরাজনৈতিক। দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতি, ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রকৃত ইসলামের আদর্শ তুলে ধরে গণসচেতনতার লক্ষে সারাদেশে হাজার হাজার সভা, সমাবেশ, সেমিনার, শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এ আদর্শিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন গুজব-হুজুগ রটিয়ে আমাদেরকে হয়রানি সহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। ওইদিন হাজীগঞ্জ বাজারেও আমাদের কর্মীদেরকে মারধরের ঘটনা ঘটায়। ধর্ম এসেছে মানবতার জন্য। আমরা সে মানবতার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চরমোনাই অনুসারীরা ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবে না বলে ক্ষমা চেয়ে একটি আপোষ মিমাংসাপত্রে স্বাক্ষর করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওপার দেশ ভারতের সুনামখ্যাত রেইনবো হসপিটালের তথ্য সেন্টার এখন রংপুরে। অর্থোপেডিক্স, পিডিয়াট্রিক্স নিউরোলজি এবং নিউরোসার্জারি, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রলজি এবং লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, পিডিয়াট্রিক হেমাটো, লেপারোসকপি, পিডিয়াট্রিক ইউেনটি, ইনসেনটিভ কেয়ার, নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা, পিডিয়াট্রিক পালমোনোলজি, এন্ডোপ্লাজমিকসহ উর্বরতা পরিচর্যাসহ সার্বিক সুবিধা বিষয়ে আলোচনা হয়।
ভারতের অত্যাধুনিক রেইনবো হাসপাতালের তথ্য ডেস্কটি রংপুর নগরীর ধাপ কাকলী লেন মেডি সাপট বিডি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। এই হাসপাতালটি ভারতের হায়দারাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লীসহ ১৬ টি রাজ্যে এর ইউনিট রয়েছে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে সুনামের সাথে তারা চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
রংপুর থেকে কিভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশী রোগীরা পাবেন সে বিষয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি হোটেলে মতবিনিময়ে রংপুরের তথ্য ডেস্কের প্রধান ধীরেজ বিশ্বাস বলেন, দেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় বাহিরের দেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে নানামুখী সমস্যায় পড়েন রোগিরা। তাই বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যাওয়ার আগেই হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবার মান, অর্থ ব্যায়ের পরিমান, বাঙালিদের খাবারের তালিকা, থাকার সু’ব্যবস্থা, ভাষাগত সমসস্যা দূর করতে রংপুরের তথ্য সেন্টার থেকে এই হাসপাতালের তথ্য সেবা পাওয়া যাবে এবং বিদেশে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে আর সমস্যায় পরতে হবে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির তথ্য কর্তৃপক্ষ।
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
গ্রিস প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
-
আন্তর্জাতিক8 years ago
যুক্তরাষ্ট্রে দুটি বিমানের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু
-
স্বাস্থ্য7 years ago
গলা ব্যথার কারণ ও চিকিৎসা
-
দেশজুড়ে8 years ago
আজ চন্দ্র গ্রহন সন্ধা ৬টা ১২ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত
-
বিবিধ9 years ago
আর অটো রিক্সা নয় এবার অবিশ্বাস্য কম দামের গাড়ি!
-
জাতীয়7 years ago
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
-
জাতীয়8 years ago
স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা
-
ফিচার8 years ago
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নামকরণের ইতিহাস