Connecting You with the Truth

ঝিনাইদহে মিথ্যা মামলায় নিয়োগ বন্ধ

মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার ১৯ নং কুঠিদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরি পদের নিয়োগ নিয়ে দিনে দিনে তৈরি হচ্ছে নানা কাহিনী। জানা গেছে, এই পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর ১৬ জন আবেদনপত্র জমা দেয়। জীবন বৃত্তান্ত যাচাই বাছাই করে ৭টি আবেদনপত্র বাতিল করা হয়। এ সময়ে বাতিলকৃত একটি আবেদনপত্র ছিল মো. হাসানুজ্জামান, পিতা: গোলাম মোস্তফা, গ্রাম: কুঠিদুর্গাপুর, পো: কুঠিদুর্গাপুর, উপজেলা ও জেলা ঝিনাইদহ এর। নিয়োগ বাছাই কমিটি তার বয়স, নাম, শিক্ষাবর্ষের ত্র“টি সনাক্ত করে আবেদনপত্রটি বাতিল করে। পরে নিয়োগ বোর্ড বসালে হাসানুজ্জামানের বাবা গোলাম মোস্তফা স্কুলের কক্ষে তালা লাগায় ও নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। নিয়োগ ঠেকাতে হাসানুজ্জামান সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১২৭/১৪ । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জি এম কামাল বলেন, “তারা সকল আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে দেখেন জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সনদের নাম ও বয়সের হেরফের। তাই তারা এই আবেদনপত্রটি বাতিল হিসাবে ধরে নেয়। প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বানু জানায়, কাগজপত্রের বৈধতা নেই তবুও সে স্থানীয় প্রভাবে নিয়োগ পেতে চাইছে। কিন্তু তারা চাচ্ছেন একজন যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হোক। আর সব আবেদনকারীর একই কথা। কিন্তু প্রভাব খাঁটিয়ে হাসানুজ্জামানের পরিবার বিভিন্নভাবে নিয়োগ ও বাছাই কমিটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান চলছে লোকবল ছাড়াই। স্থানীয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপেও এটার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না। হাসানুজ্জামান ও তার পরিবার অবস্থানে অনড়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাসানুজ্জামানের অষ্টম শ্রেণির সনদ যাচাই করে বিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষের সাথে মিল পাওয়া যায়নি। সে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় কালুহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির সনদ দাখিল করে।
কুঠিদুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, হাসানুজ্জামানের বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারে শিক্ষাবর্ষ অষ্টম শ্রেণি পাশ পর্যন্ত ২০০২-০৪ইং। কিন্তুু তার অবেদনপত্রের সাথে জমা দেওয়া আছে তার শিক্ষাবর্ষ সনদ ২০০৫-০৭ ইং। মূলত এই ত্র“টিটিই আবেদনপত্রটি বাতিল হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তবুও সে জোর করেই এই পদে নিয়োগ পেতে চাচ্ছে।

Comments
Loading...