Connect with us

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইনে মাদকের হাট, হচ্ছে হোম ডেলিভারি!

Avatar photo

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ এখন ঘরবন্দি। অনলাইনে চলছে কেনাকাটার ধুম। সেই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। করোনার মতো বৈশ্বিক মহামারিও মাদককে রুখতে পারছে না বরং করোনাকালে বেপরোয়া মাদক ব্যবসায়ীরা। চলছে অনলাইনে মাদক বেচাকেনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত আইডি খুলে অনলাইনে মাদকের হাট বসানো হয়েছে। অনলাইনে মাদকের অর্ডার করলেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে।

দেয়া হচ্ছে সব ধরনের মাদকের হোম ডেলিভারি। আর হোম ডেলিভারিতে নিজস্ব ডেলিভারিম্যানের পাশাপাশি প্রচলিত ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করারও অভিযোগ রয়েছে। অনলাইনে মাদক বেচাকেনার কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় অনেকের হাতেই এখন মাদক।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়মিত চলছে বলা হলেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে মূলত এখন মাদকবিরোধী অভিযান খুব কমই হচ্ছে। অতীতেও মাদকবিরোধী অভিযান কিছু দিন চলার পর তা ঝিমিয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।

অভিভাবকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই জিরো টলারেন্স নীতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাাহিনী বাস্তবায়ন করলেই মাদক নির্মূল করা সম্ভব। তবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির সদস্য, স্থানীয় এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছেন।

সেসব রাজনৈতিক নেতাদের এখন পকেটভর্তি টাকা। এ কারণেই মাদকবিরোধী অভিযান সফল হচ্ছে না। ঠাকুরগাঁওয়ে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক আসছে। বড় বড় চালান এখনো আসছে। সীমান্ত দিয়ে যে পরিমাণ মাদক আসছে তার ১০ ভাগের এক ভাগও ধরা পড়ে না। মাদকে কাঁচা টাকা দ্রুত আসে। এ কারণে বেকার যুবক, নারী-পুরুষ সবাই এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন।

অনেক ছোটখাট ব্যবসায়ীও করোনার কারণে বেকার হয়েছেন। তারাও গ্রামে গিয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। এভাবে মাদকের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলে তা রোধ করা কঠিন হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে আসা ইয়াবার চালান হয়ে পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবার গাড়িতে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।

অনলাইন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান মাঝারি কারবারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে যাচ্ছে। অনলাইনে নানা গ্রুপ খুলে করোনার এ সময়ে চলছে মাদকের জমজমাট বেচাকেনা।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক নির্মূলে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে করোনার সুযোগটা নিচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

পুলিশ ও ডিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, করোনাকালে মাদকের হোম ডেলিভারির ব্যাপারে তারা জানতে পেরেছেন। মাদক এখন মোটরসাইকেল এবং সাইকেলে করে পৌঁছে দেয়া হয়। বিভিন্ন মাধ্যমেও হোম ডেলিভারি হয়। বিশেষ করে, সাইকেলে করে যেসব ফুড ডেলিভারি দেয়া হয়, তাদের অনেকের মাধ্যমেও মাদকের হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। অল্প কিছু টাকার লোভে পড়ে তারা মাদকের ডেলিভারি দিচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। মাদকের জোগান বন্ধে তারা কাজ করছে। দ্রুতই মাদকের হোম ডেলিভারি সিস্টেম ভেঙে দিয়ে মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কৃষি সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে গমের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা

Avatar photo

Published

on

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ফসলের মাঠে গমের সবুজ সমারোহ। গেল বছর ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা তাদের।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩৬ হাজার ৬শ’ ৫৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। সরেজমিনে, ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর মাঠে মাঠে চোখ জুড়ানো সবুজ ক্ষেতের সমারোহ। সবুজে চোখ রাখলে তা ফেরানো যায় না। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। তিনি এ বছর ৫০ শতক জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের চন্দ্র মোহন বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয়। এ বছর আমি দুই একর জমিতে চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি কাশিডাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির জানান, এক বিঘা মাটিতে গম চাষে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা মাটিতে কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৮ মণ গম উৎপাদন হয়। গত বছরের মতো এ বছরো গমের মূল্য প্রতি মণ ১ হাজার টাকা হলে বিঘা প্রতি লাভ হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রানীশংকৈল উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি ২ একর জমিতে গম চাষ করেছি বাম্পার ফলনের আশা করি এবার লাভ হতে পারে। পীরগঞ্জ উপজেলার কৌশানিগঞ্জ নাককাটি গ্রামের মোশারুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর গম আবাদ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা ভালো দাম পায় তাহলে তাদের মুখে হাসি ফুটবে তাই এবার গমের ফলন বাম্পার হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্র থেকে বলেন, ‘এ ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি গম চাষের জন্য উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছরও গমের বাম্পার ফলন হবে’।

Continue Reading

ঠাকুরগাঁও

পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

Avatar photo

Published

on

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা ঢাকতে আরফিন আক্তার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় উড়না পেঁচিয়ে বাঁশের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আরফিন আক্তার উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের কৃষক জবেদ আলীর মেয়ে। ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে চতুর্থ। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সে রাণীশংকৈল উপজেলার ডিকে ধর্মগড় (কাশিপুর) মহাবিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে অংশ নেয়। এতে ইংরেজি বিষয়ে কম নাম্বার পেয়ে অকৃতকার্য হন।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে ভীষণ কান্নাকাটি করতে দেখে প্রতিবেশী ও স্বজনরা সান্ত্বনা দেন। পরীক্ষায় ফেল করার লজ্জা আর নিজের ওপর অভিমান করে গতকাল বুধবার বিকেলে সবার অজান্তে মেয়েটি নিজ শয়ন কক্ষের বাঁশের সঙ্গে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

গেদুড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুঞ্জুর হক বলেন, ‘মেয়েটির মা বাড়িতে নামাজ পড়ছিল। তার বাবা বাসায় ছিল না। সে রেজাল্ট শোনার পর বাসায় এসে গলায় উড়না দিয়ে বাশের সাথে ফাঁস দেয়। পরে তার ছোট বোন গোসল করে রুমে গিয়ে দেখে সে ছটফট করে। তাকে নামানোর পর সে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা হরিপুর থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে হরিপুর থানার তদন্ত ওসি মো আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। তিনি জানান এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরীক্ষায় ফেল করা নিয়ে পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা হওয়ার একপর্যায়ে বেলী অভিমান করে আত্মহত্যা করে।

Continue Reading

Highlights

ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার

Avatar photo

Published

on

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে বিরল প্রজাতির একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়। সোমবার পৌর শহরের ডিসি বস্তির শুভ নামে এক যুবক সেটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

জানা যায়, রোববার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যুৎ নামক স্থানে কয়েকজন শিশু কাঠবিড়ালী ভেবে অসুস্থ অবস্থায় গন্ধগোকুলটিকে আটক করে। বিষয়টি শুভ জানার পর কাঠবিড়ালী হিসেবে সেটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। বাসায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দিলেও গন্ধগোকুলটি কিছু না খাওয়ায় বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা প্রাণীটির ছবি তুলে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠান। পরে বন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় এটি একটি বিরল প্রজাতির নিশাচর প্রাণী। এটি সাধারণত কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়; তাই দ্রুত এটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন। শুভ এটি জানার পর গন্ধগোকুলটি নিয়ে ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।

ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম মণ্ডল বলেন, ধারনা করা হচ্ছে এটি একটি গন্ধগোকুল। এটি মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী, নিশাচর প্রাণী। গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে এ প্রাণীটির বাস। এরা মূলত কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা, পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রস খেয়ে থাকলেও খাদ্যের অভাবে মুরগি, কবুতর ও ফল চুরি করে। ফল ও ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকারও করে থাকে এরা। ঠাকুরগাঁও বনবিভাগ কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী জঙ্গলে এটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

Continue Reading